টলিপাড়ার এমন অনেক নায়িকা রয়েছেন যাঁরা একসময় হয়ত ছিপছিপে ছিলেন কিন্তু এখন কোনও কারণবশত তাঁদের ওজন বেড়ে গিয়েছে। আর এই ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ইন্দ্রানী হালদারের চেহারা দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। হঠাৎ করেই ওজন অনেকটা বেড়েছে তার। কেউ যেন বাজে কথা বলে তার মনবল না ভেঙে দেন, তাই আগেই নিজের অসুস্থতার কথা সবাইকে জানিয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন ইন্দ্রানী। তবে ইন্দ্রাণী হালদার এক নন, আগেও ওজন বাড়া নিয়ে ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে এই অভিনেত্রীদের।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
প্রথম সন্তান ইউভানের জন্মের পর শুভশ্রীর ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় অভিনেত্রীকে তাঁর শরীর নিয়ে একাধিক খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। তবে শুভশ্রী পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়েননি। খুব শীঘ্রই ডায়েট ও শরীরচর্চা করে আবার আগের চেহারায় ফিরে এসেছেন।
এনা সাহা
টলিউড অভিনেত্রী এনা সাহাকে যদি কেউ আগে দেখে থাকেন, তাহলে দেখবেন তিনি কিন্তু আগে স্লিম-ট্রিমই ছিলেন। তবে বেশ কিছু বছরে এনার ওজন বেশ বেড়েছে। আর এনার ছবি পোস্ট হতেই সেখানে ট্রোলারদের বডি শেমিং শুরু হয়ে যায়। যদিও এনা তাঁর শরীর নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কটাক্ষকে খুব একটা পাত্তা দিতে চান না।
অনামিকা চক্রবর্তী
ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে অনামিকা চক্রবর্তীকে বেশ কিছুদিন সিরিয়ালের বাইরে দেখা গিয়েছিল। মোটা তকমা দিয়ে অভিনেত্রীকে বার বার বাতিল করা হচ্ছিল। তবে এখন অবশ্য মিঠিঝোরা সিরিয়ালে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।
ঋতাভরী চক্রবর্তী
অসুস্থতার কারণে বেশ মোটা হয়ে গিয়েছিলেন ঋতাভরী। পর পর বেশ কয়েকটি সার্জারি, অনেক ওষুধ, ডায়েটের হেরফের, শরীরচর্চা করতে না পারা এবং মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। মোটা হয়ে যাওয়ার পর তাকে দেখে সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। তবে মোটা শরীরে ‘ফাটাফাটি’ সিনেমাতে অভিনয় করে সবাইকে যোগ্য জবাব দেন ঋতাভরী। এই সিনেমার জন্য তিনি ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন। এই সিনেমা দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দেন সিনেমা ভালো হওয়ার জন্য অভিনয় ভালো হওয়া প্রয়োজন, রোগা শরীর নয়।
ইন্দ্রাণী হালদার
প্রায় দীর্ঘ ১ বছর ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন ইন্দ্রানী হালদার। সম্প্রতি একটি মাচা শো থেকে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায় ইন্দ্রানীও অনেকটা মোটা হয়েছেন এই কদিনে। সেই ভিডিও প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান বিগত এক বছর ধরে পিঠে ব্যথায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি। আর এই কারনে তিনি কোনও অনুষ্ঠান করতে পারেননি। কোনও কাজ করতে পারেননি। বাইরে বেরোনো একেবারেই বারণ ছিল ডাক্তারের। ওষুধ খেয়ে তিনি এখন অনেকটা সুস্থ আছেন বটে। কিন্তু এই ওষুধের কারণেই তার ওজন বেড়েছে।