scorecardresearch
 

Jisshu-Nilanjana: সেদিন ছিল অষ্টমী, দু'জনের চোখে সর্বনাশ, যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেমকাহিনি

Jisshu-Nilanjana: টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের রয়েছে দুটি সন্তান জারা ও সারা। যিশু-নীলাঞ্জনার ছোট্ট এই পরিবারে হঠাৎ করেই যেন কালো মেঘের ঘনঘটা। টলি পাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এই পাওয়ার কাপলের দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরেছে।

Advertisement
যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেম শুরু কীভাবে? যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেম শুরু কীভাবে?
হাইলাইটস
  • টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা।

টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের রয়েছে দুটি সন্তান জারা ও সারা। যিশু-নীলাঞ্জনার ছোট্ট এই পরিবারে হঠাৎ করেই যেন কালো মেঘের ঘনঘটা। টলি পাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এই পাওয়ার কাপলের দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরেছে। যদিও যিশু বা নীলাঞ্জনা উভয়ই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাঁদের সম্পর্কে যে চিড় ধরেছে তা ইতিমধ্যেই টলিপাড়ায় চাউর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি কীভাবে শুরু হয়েছিল নীলাঞ্জনা ও যিশুর প্রেম কাহিনী। 

যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেমপর্ব শুরু হয়েছিল একটা পুজোর সময়ে। তখন ২০০২ সাল। বাংলার স্বর্ণযুগের নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিকের বড়মেয়ে নীলাঞ্জনা হিন্দি সিরিয়াল হিপ হিপ হুররে-এর পরিচিত মুখ। বাংলা সিনেমা স্বপ্নের ফেরিওয়ালা-র শ্যুটিংয়ের জন্য কলকাতায় আসেন নীলাঞ্জনা। এই সিনেমার মাধ্যমে নীলাঞ্জনা একাধিক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁর অভিনয় ও মিষ্টি হাসি দিয়ে। কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না যে কলকাতায় থাকাকালিনই তিনি মন দিয়ে ফেলবেন টলিপাড়ার হ্যান্ডসম ও জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তকে। আজকের যিশু অবশ্য ২০০২ সালে অতটা জনপ্রিয় ছিলেন না বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।

    

আরও পড়ুন

যিশু-নীলাঞ্জনার রোম্যান্স শুরু হয় ২০০২ সালের দুর্গাপুজোর সময়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল পুজো বাড়ির সেরা পুজো, যেখানে কলকাতার আবাসনের পুজোগুলোর মধ্যে সো পুজো বেছে নেওয়া হবে। অষ্টমীর দিন তারকা বিচারকেরা শর্ট-লিস্টেড করে সেখান থেকে সেরা পুজোটিকে বেছে নেবেন। সেই বছর নীলাঞ্জনা ও যিশু ছিলেন সেই তারকা বিচারকদের তালিকায়। বিচারপর্ব সারার পর শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে লাঞ্চ করেন যিশু ও নীলাঞ্জনা সহ অন্য বিচারকেরা। আর সেই সময় একে-অপরের থেকে চোখ সরছিল না যিশু ও নীলাঞ্জনার। হ্যাঁ, সেই বছরের অষ্টমীতেই যিশু-নীলাঞ্জনার মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। লাঞ্চের পর যিশু তাঁর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাঁর নজর যায় নীলাঞ্জনার দিকে এবং যিশু তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। নীলাঞ্জনা খুব অবাক হয়েছিলেন। তবে নীলাঞ্জনা কিছু বলার আগেই গাড়ি চলে আসে এবং যিশু তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। নীলাঞ্জনা যিশুর গাড়িতে উঠে চলে যান।  

Advertisement

এরপর যিশু-নীলাঞ্জনা একসঙ্গে কাজও করেন। শ্যুটিং সেটেই তাঁদের ভালোবাসা আরও পরিপক্ক হয়। এরপর একদিন রাত ১০টার সময় নীলাঞ্জনাকে বাড়ি ছাড়তে গিয়ে মা অঞ্জনা ভৌমিকের কাছে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন যিশু। ২০০৪ সালে বিয়ে হয় যিশু-নীলাঞ্জনা। প্রত্যেক বছর যিশু-নীলাঞ্জনা দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকেন তাঁদের আবাসনের। বিয়ের কিছু বছরের মধ্যেই তাঁদের জীবনে আসে সারা ও জারা। দুর্গাপুজো থেকেই তাঁদের প্রেমের শুরু আর হয়ত আগামী পুজোতে একসঙ্গে থাকবেনও না তাঁরা। যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্যে চিড় অনেক পরিচালক-তারকারাই মানতে পারছেন না, বিশেষ করে যাঁরা অনেক আগে থেকেই তাঁদের চিনতেন।      


 
 

Advertisement