শনিবার বুকে অস্বস্তি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। সোমবার তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে আসে। কিন্তু তখনও জানা যায়নি অভিনেত্রীর ঠিক কী হয়েছে। শুধু এটুকু জানান যায়, শ্বাসকষ্ট ও বুকে অস্বস্তি নিয়ে গত ৩ দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। সোমবার বিকেলে পাওয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে সন্ধ্যা রায়কে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছে অভিনেত্রীর? হাসপাতালের বুলেটিন থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চিকিৎসকদের অনুমান অভিনেত্রী করোনারি ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা রায়ের ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও রক্ত-সহ বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। ৩ জনের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল অভিনেত্রীর নিয়মিত দেখাশোনা করছেন।
সূত্রের পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে যে প্রেশারের সমস্যা রয়েছে অভিনেত্রীর। উচ্চরক্তচাপেও ভুগছেন তিনি। সুগারও রয়েছে। তাই হাসপাতালে কড়া পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থার ভাল থাকলে তাঁকে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
সন্ধ্যা রায়ের বিনোদন জগতে প্রবেশ ছয়ের দশকে। ‘মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ঠগিনী’, ‘রাহগির’, ‘নবাব’, ‘সত্য মিথ্যা’ ‘বাবা তারকনাথ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম সারির অভিনেত্রী বলে জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘গণদেবতা’ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। ভোটে জিতে মেদিনীপুরের সাংসদ হন তিনি। প্রবীণ তারকার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, এই কামনা করছেন তাঁরা।