হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফের শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুলোচনা লতকর। শ্রী ৪২০, নাগিন, অব দিল্লি দূর নহি ও মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খ্যাত অভিনেত্রী সুলোচনার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ৪ জুন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রসঙ্গত, ঝুলিতে ৩০০ টিরও বেশি হিন্দি ছবি রয়েছে। পর্দায় দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, দেব আনন্দদের মায়ের চরিত্রে বহুবার দেখা গিয়েছে তাঁকে। এক লম্বা সময় কাটিয়েছেন হিন্দি সিনেমার জগতে।
বেশ কিছুদিন ধরেই মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই অভিনেত্রী। পরিাবর সূত্রের খবর, বার্ধক্য জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর। সুলোচনার মেয়ে কাঞ্চন তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই জানিয়েছিলেন যে অভিনেত্রীর অবস্থা সঙ্কটজনক। শনিবারই সুলোচনা লতকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না। রবিবারই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবরে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে শোকপ্রকাশ করে লেখেন, 'সুলোচনা জির প্রয়াণে ভারতীয় সিনেমা জগতে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হল। তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়গুলি আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তুলেছে। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।'
১৯২৮ সালে জন্ম অভিনেত্রীর। একেবারে কিশোরী বয়স থেকেই অভিনয় জগতে প্রবেশ। প্রথম জীবনে মরাঠি ছবির নায়িকা এই ভাবেই শুরু। প্রায় ৫০টি মারাঠি ছবিতে কাজ করেন। তার পর হিন্দি সিনেমার দুনিয়া পা রাখেন। এক লম্বা সময় ধরে দর্শক তাঁকে চেনেন অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, দেব আনন্দ, দিলীপ কুমারদের মতো তারকাদের পর্দার মায়ের পরিচয়ে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, সুনীল দত্ত, দেব আনন্দ এবং রাজেশ খন্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে ভাল লাগত তাঁর। ১৯৯৯ সালে সুলোচনা লতকরকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয় এবং ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া হয় সম্মানীয় মহারাষ্ট্র ভূষণ অ্যাওয়ার্ড। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ শিবাজী পার্ক শশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া হিন্দি সিনেমার জগতে।