এখন পথ দুজনেরই আলাদা। একজন বিয়ে করে রীতিমতো সেটল আর একজনের বিয়ে হবে হবে করছে। একসময় দুজনকে নিয়ে চর্চা কম ছিল না। ইমন চক্রবর্তী ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রেমটা টলিপাড়ার নতুন কিসসা নয়। তাঁদের মাখো মাখো প্রেম টলি পাড়ায় অজানা ছিল না কারোরই। কি্তু আচমকাই সই প্রেমের গল্পে ছেদ পড়ে। হঠাৎ করেই আলাদা হয়ে যায় ইমন ও শোভন। কিন্তু কী কারণে তাঁদের ব্রেকআপ হয় সেটা আজও স্পষ্ট নয়। টলিপাড়ার ফিসফাস, বয়সে বড় ইমনের সঙ্গে প্রেম নাকি মানতে অসুবিধে ছিল শোভনের পরিবারের। ইমন বা শোভন এই নিয়ে মুখ না খুললেও একবার এক রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে এসে শোভনের মা ইমনের সঙ্গে তাঁর প্রেম নিয়ে যা বলেছিলেন, তাতে মোটেও খুশি হননি ইমন ভক্তরা।
ইমনের চেয়ে ঠিক কতটা ছোট শোভন জানেন? শোভনের জন্মদিন ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল। অন্যদিকে উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে ইমন জন্মেছেন ১৯৮৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। হিসেব বলছে, শোভনের থেকে প্রায় বছর চারেকের বড় ছিলেন ইমন। যদিও ভরপুর প্রেম ছিল তাঁদের। ব্রেকআপ হয়ে গেলেও আজও দু’জনের মধ্যে বজায় রয়েছে সদ্ভাব। এই মুহূর্তে নীলাঞ্জনের সঙ্গে সুখের সংসার করছেন ইমন। আর শোভন প্রেম করছেন সোহিনী সরকারের সঙ্গে। তবে শোভন ও ইমনের যে বিষয়ের জন্য ব্রেকআপ হয়, সেই একই কারণ রয়েছে শোভন-সোহিনীর মধ্যেও।
শোভনের চেয়ে বয়সে বড় সোহিনী। তবে এবার আর কোনও বারণ-নিষেধ শোনার পাত্র নন তাঁরা। জুলাইতেই হয়ত বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শোভন-সোহিনী। প্রস্তুতিও চলছে তু্ঙ্গে। এর আগে স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গে শোভনের বিচ্ছেদের সময় ইমনের দিকে উঠেছিল অভিযোগের আঙুল। কিন্তু ইমন সেই সময় জানিয়েছিলেন যে তিনি সবসময়ই শোভনের ভাল চেয়েছেন। এর আগে শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্বস্তিকার।
স্বস্তিকার সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্ক ভাঙার পর সোহিনীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শোভন। যিশু সেনগুপ্তের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে শোভন ও সোহিনী একে-অপরের কাছাকাছি আসে। এরপর সোহিনীর মায়ের জন্মদিনেও শোভনকে বাড়িতে দেখা যায়। যদিও সম্পর্ক নিয়ে নিজেরা অফিসিয়ালি কিছুই ঘোষণা করেননি। তবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে এটা স্পষ্ট যে তাঁরা নিবিড় প্রেমে রয়েছেন এবং খুব শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতেও বসবেন।