scorecardresearch
 

Ram Kamal-Draupadi: 'দ্রৌপদী' রুক্মিণী, 'সমালোচনা হবেই,' বলছেন খোদ পরিচালক

Ram Kamal-Draupadi: জল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। নটি বিনোদিনীর পর রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাবে দ্রৌপদীর চরিত্রে। সেই জল্পনাই বাস্তব আকার নিল দেবের ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার পরের দিনই। রাজকীয় সেই পোস্টারের দেখা মিলেছে শনিবারই।

Advertisement
রুক্মিণী মৈত্র ও রাম কমল মুখোপাধ্যায় রুক্মিণী মৈত্র ও রাম কমল মুখোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • জল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। নটি বিনোদিনীর পর রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাবে দ্রৌপদীর চরিত্রে।

জল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। নটি বিনোদিনীর পর রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাবে দ্রৌপদীর চরিত্রে। সেই জল্পনাই বাস্তব আকার নিল দেবের ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার পরের দিনই। রাজকীয় সেই পোস্টারের দেখা মিলেছে শনিবারই। বিনোদিনী: এক নটির উপাখ্যান খ্যাত পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই দ্রৌপদী আসতে চলেছে। তবে এই দ্রৌপদী কিন্তু কোনওভাবেই আধুনিক যুগের হবেন না, ৫০০০ বছর আগের সময়কার দ্রৌপদীকেই তুলে ধরবেন পরিচালক আর সেটা রুক্মিণীর মাধ্যমে। 

দৌপদী হিসাবে কেন রুক্মিণীকেই সেই বেছে নিলেন রামকমল? এ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, 'আমি ইতিমধ্যেই বিনোদিনীতে ওর সঙ্গে কাজ করেছি। ওর চরিত্রের প্রতি নিষ্ঠা, সমর্পণ, সেটা আমার কাছে দুর্লভ এক জিনিস আমি দেখতে পেয়েছিলাম। যে কোনও চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে রুক্মিণী যতটা সময় নিয়ে করে, যতটা সৎভাবে করে সেটা আমার ভালো লেগেছিল। বিনোদিনীর সময়ও রুক্মিণীকে নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, আমি নিশ্চিত যে দ্রৌপদীর সময়ও সেই সংশয় থাকবে, কিন্তু আমি কাজ করেছি, ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে, সেখান থেকে রুক্মিণীর নিষ্ঠা, একাগ্রতা, চরিত্রটাকে নিয়ে পড়াশোনা, গোটা বিষয়টার সঙ্গে নিজেকে জড়ানো, তাই আমার মনে হয়েছে রুক্মিণী এই চরিত্রটা ভালো করতে পারবে। সেই জন্যই বিনোদিনীর পরে আমি আবার রুক্মিণীর সঙ্গে কাজ করার প্ল্যান করলাম।' 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by RUKMINI MAITRA 💫 (@rukminimaitra)

Advertisement

দ্রৌপদী ছবির শ্যুটিং শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে। পুজোর আশেপাশেই হয়ত রুক্মিণীকে দ্রৌপদীর প্রথম লুকে দেখতে পাওয়া যাবে। বাংলায় এই ছবির শ্যুটিং হবে না, হায়দরাবাদ বা মহারাষ্ট্রে ছবির শ্যুটিং লোকেশন বাছাই করা হবে। কেন বাংলাতে এই ছবির শ্যুটিং হচ্ছে না, এ বিষয়ে পরিচাবক বলেন, '৫০০০ বছর আগের সময়ের যে সেট লোকেশন চাইছি তা সেরকম পরিকাঠামো বাংলাতে নেই। সেটা কলকাতাতে নেই, কলকাতায় করতে গেলে পুরো সেট বানিয়ে করতে হবে, আর সেটা আনাতে হবে নয় মহারাষ্ট্র থেকে আর নয়ত বা হায়দরাবাদ থেকে। সেটা ব্য়য়বহুলও বটে। যেহেতু সিনেমাটা একটা পিরিয়ড ড্রামা, সেটা মাথায় রেখে খরচটাকে কমিয়ে, যাতে দেখতে সুন্দর হয় জিনিসটা, অন্য কোনও ভারতীয় সিনেমার চেয়ে কম কিছু মনে না হয়, সেটাকে ধরেই আমরা হায়দরাবাদ নয়ত বা মহারাষ্ট্রে শ্যুটিং করার পরিকল্পনা করেছি। পরিচালক এও জানান যে এটার অর্থ এমনটা নয় যে বাংলা বা কলকাতাকে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। এখানে দুর্ভাগ্যবশত পরিকাঠামো নেই, তাই দ্রৌপদী-র শ্যুটিং অন্য শহরে গিয়ে করতে হবে। রামকমলের মতে, দক্ষিণী বা হিন্দি সিনেমার শ্যুটিং যদি কলকাতায় হতে পারে তাহলে বাংলা সিনেমার শ্যুটিং মহারাষ্ট্র বা অন্য কোথাও কেন হতে পারে না। এতে এই রাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষাটাও অন্য শহরের মানুষ জানবে। পরিচালক বলেন যে তাই কলকাতায় কেন শ্যুটিং হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন না তুলে এখানকার ছবি বাইরে গিয়ে শ্যুটিং হবে সেটা নিয়ে আনন্দ পাওয়া উচিত।' 

নটি বিনোদিনী-র প্রথম লুকসের মতোই দ্রৌপদী হিসাবে রুক্মিণীকে কেমন লাগবে তা নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিনোদিনীর মতো এই চরিত্রটা করার সময়ও রুক্মিণী তাঁর রিসার্চ ওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে নিখুঁতভাবে দ্রৌপদী হিসাবে নিজেকে পরিবেশন করতে পারেন দর্শকদের সামনে। পরিচালক আপও জানিয়েছেন ‘দ্রৌপদী’ প্যান ইন্ডিয়া ছবি, শুধু হিন্দি নয়, একাধিক ভাষাতে ছবি মুক্তি পাবে। শ্যুটিং বাংলাতে হবে নাকি হিন্দিতে হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। ‘যাজ্ঞসেনী’ উপন্যাস অবলম্বনেই ছবি তৈরি হবে, ৫০০০ বছরের পুরনো প্রেক্ষাপটে। অনেকে ভাবছেন আধুনিক যুগের ছাঁচে ফেলে সিনেমা হবে, সেটা কিন্তু নয়। 

Advertisement