Raigunj Murder Case: কয়েকদিন পরই বিয়ে ছিল। তার আগে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল নিজের ঘর থেকে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। পাশাপাশি রহস্য দানা বেঁধেছে। উত্তর দিনাজপুরের সদর রায়গঞ্জ শহরে এখন চর্চার তুঙ্গে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পরিবার বা প্রতিবেশীরা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না, বিয়ের কয়েকদিন আগে এমন কী হল? ঘটনার নেপথ্যেই বা কী কারণ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের হাইরোড নট্টপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সরস্বতী দাস(১৮)। পরিবার সূত্রে খবর, পড়াশোনার পাশাপাশি হাতের কাজেও দক্ষ ছিল তরুণী। তাঁর বাবা ও এক দাদা বাইরে থাকেন। আরেক দাদা আলাদা থাকেন বলে পরিবার সূত্রে খবর।
বিয়ের বাকি ছিল মাত্র কয়েকটা দিন! পরের সপ্তাহেই বিয়ের কথা। তার আগেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। প্রেম করেই বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু প্রেমের পরিণতি যে এমন হতে পারে ভাবেননি কেউ, প্রেমের পরিণতি বিয়ে না হয়ে মৃত্যু হবে এটাও কল্পনা করতে পারছে না! প্রেমিকের হাতে তরুণীর মৃত্যু নাকি অন্য কোন কারণে মৃত্যু। তা এখনও জানা যায়নি! বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় তরুণীর। বিছানায় ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে তরুণীর দেহ। পাশাপাশি রক্তাক্ত ছিল। ফলে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
পরিবারের দাবি, কলেজ পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। প্রায় দিনই যাতায়াত করত ছেলেটি। সম্প্রতি তাদের বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে যায়। এর মধ্যে গতকাল রাতে ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখে পরিবারের দাবি প্রেমিকই তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।