Jadavpur University Student Death: ইউজিসিকে রিপোর্ট দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের পাঠানোর ডেট লাইন মেনে পাঠানো হলো রিপোর্ট। সেখানে প্রথম বর্ষের যারা বোর্ডার, তাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে যারা এনকোয়ারি কমিটিতে রয়েছেন, তাঁদের নামও পাঠানো হয়েছে।
যাঁরা পাশ করে গিয়েছেন বা প্রাক্তনী তাঁদের তিনদিনের মধ্যে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বুধ ও বৃহস্পতিবার ইউজিসির প্রতিনিধিরা নিজেরা গিয়ে দেখবেন যে হোস্টেল ফাঁকা হয়েছে কিনা। বয়েজ হোস্টেলের সব প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের স্থায়ীভাবে রাখার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেপিজি হোস্টেলে বেশ কিছু স্টাফ থাকেন, তাঁদেরকে সরিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখার চিন্তাভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর নতুন করে কোনও আবাসিক যদি কোনও পড়ুয়াকে গেস্ট হিসাবে রাখে, তাহলে তা কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে দু'জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে যাদবপুরের নিজস্ব ইন্টার্নাল এনকোয়ারি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউজিসিকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এনকোয়ারি কমিটি রিপোর্ট ১৫ দিনে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও যেহেতু মানবাধিকার কমিশন ও শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চিঠি এসেছে তাই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে সিসিটিভি লাগানোর যে প্রস্তাব রয়েছে, যে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে বলে বলা হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন যুক্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ বছর। যদিও পরে খতিয়ে দেখে জানা যায় যে তিনি আগামী ৩১ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী হতেন। আর সেই কারণেই পকসো আইন যুক্ত করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, 'মৃত ছাত্র নাবালক ছিলেন এবং মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেখানে কোনও যৌনতার বিষয় ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।'
ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে একজন প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী এবং অন্য দু’জন বর্তমান ছাত্র মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আগেই সৌরভকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশও দিয়েছে আলিপুর আদালত। মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোতোষের ঘরেই ‘গেস্ট’ হিসাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের মৃত ছাত্রকে।