scorecardresearch
 

Bangladesh MP Anwarul Azim: 'সন্ধেয় এসে খাব,' বন্ধুকে বলে বেরোলেন, তারপর? কলকাতায় খুন বাংলাদেশের সাংসদ

কলকাতায় খুন হলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম। নিউ টাউনের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কলকাতায় আওয়ামি লিগের ওই সাংসদের খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এটাও জানান যে এ ঘটনায় বাংলাদেশে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement
'সন্ধেয় এসে খাব,' বন্ধুকে বলে বেরোলেন, তারপর? কলকাতায় খুন বাংলাদেশের সাংসদ 'সন্ধেয় এসে খাব,' বন্ধুকে বলে বেরোলেন, তারপর? কলকাতায় খুন বাংলাদেশের সাংসদ
হাইলাইটস
  • কলকাতায় খুন হলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম
  • নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটেছে

কলকাতায় খুন হলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম। নিউ টাউনের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কলকাতায় আওয়ামি লিগের ওই সাংসদের খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এটাও জানান যে এ ঘটনায় বাংলাদেশে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ভারত সরকার তদন্তে সহযোগিতা করছে। পরিকল্পনা করেই সাংসদকে খুন করা হয়েছে।

কলকাতায় আনওয়ারুল

কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে কলকাতায় আসেন ওই সাংসদ। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনওয়ারুল ১৩ মে কলকাতা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন ওই সাংসদ। গোপালের সঙ্গে তাঁর ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৩ মে কোনও একজনের সঙ্গে দেখা করতে বেরোন তিনি। যাওয়ার সময় তিনি বলে যান, দুপুরে খাবেন না, সন্ধ্যায় ফিরে আসবেন।

বন্ধুর বাড়ি ফেরেননি

আনওয়ারুল আজিম সন্ধ্যায় গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ফেরেননি। তবে, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে গোপালকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়, বিশেষ কাজে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে পৌঁছে তিনি ফোন করে গোপাল বিশ্বাসকে জানাবেন, গোপালের নিজে থেকে ফোন করার দরকার নেই। পরে ১৫ মে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২১ মিনিটে আনওয়ারুল আজিমের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আরেকটি মেসেজ আসে। তাতে আনওয়ারুল আজিমের দিল্লি পৌঁছানোর কথা জানিয়ে বলা হয়, 'আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন, ফোন করার দরকার নেই।' একই মেসেজ বাংলাদেশে তাঁর বাড়ির লোকজন এবং ব্যক্তিগত সহকারীকেও পাঠানো হয়।

কে পাঠাল মেসেজ?

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ মে আনওয়ারুলের নম্বর থেকে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফের নম্বরে একটি ফোন আসে। যদিও ব্যক্তিগত সহকারী ফোন ধরতে পারেননি। পরে ওই নম্বরে ফোন করে আর যোগাযোগ করতে পারেনি আবদুর রইফ। পরদিন ১৭ মে আনওয়ারুলের মেয়ে গোপাল বিশ্বাসকে ফোন করে জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারপর তিনি আনওয়ারুলের পরিচিতদের ফোন করেন। যদিও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

খুন নাকি অন্য কিছু?

আনওয়ারুল আজিমের পরিবার বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উত্থাপন করে এবং হাসিনার তাঁর কার্যালয় দিল্লি ও কলকাতার কূটনীতিকদের অবহিত করে। এরপরই গোপাল বিশ্বাস বরানগর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ওই সাংসদের শেষ লোকেশন নিউটাউনে দেখাচ্ছিল। এদিকে, এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তি সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফেরে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আমানুল্লাহ।

Advertisement