মালদায় ধৃত চিনা নাগরিকের মামলার তদন্তভার হাতে তুলে নিল এসটিএফ। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন ওই চিনা নাগরকিকের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ভারতে কেন এসেছে, সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়। ভারত থেকে প্রচুর সিম কার্ড বিদেশে পাচার করেছে ওই ব্যক্তি তা জানা গিয়েছে বয়ানে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান হানের শরীরে কোনও চিপ লুকানো ছিল। ফলে তার সিটি স্ক্যান করানো হতে পারে। ইতিমধ্যে তাকে জেরা করেছে এনআইএ, উত্তরপ্রদেশে এটিএস। এবার এই মামলার তদন্তভার নিল এসটিএফ।
বিএসএফ নিজের বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেরায় তারা জানতে পেরেছে হান একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগে ৪ বার ভারতে এসেছিল সে। ২০১০ সালে হায়দ্রাবাদের এসেছিল। ২০১৯ সালের পরে তিনবার দিল্লি গুরুগ্রামে এসেছিলে সে। সেখানে একটি হোটেলে বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক কাজ করেন বলে দাবি। সেখানে তাঁর কয়েকজন বন্ধু রয়েছে বলে জানিয়েছে হান। এমনকি ওই ব্যক্তির ব্যবসায়িক পার্টনার সান জিয়াংকে গ্রেফতার করেছে লখনউ এটিএস। তারপরেই থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল হান। তল্লাশির সময়ে হানের থেকে, ১ টি অ্যাপল ল্যাপটপ, ২টি আইফোন মোবাইল, ১ টি বাংলাদেশ সিম, ১টি ভারতীয় সিম, ২টি চাইনিজ সিম, ২টি পেন ড্রাইভ, ৩টি ব্যাটারি, ২ টি ছোট টর্চ, ৫টি টাকা লেনদেনের মেশিন, ২ টি এটিএম / মাস্টার কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রাও উদ্ধার করা হয় ।
বিএসএফ জানিয়েছে, হান চিনের হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে চলতি বছরের ২রা জুন হান বাংলাদেশে এসেছিল। সেখানে এক চিনা বন্ধুর কাছে ছিল। ৮ই জন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের একটি হোটেলে ছিল। ১০ জুন ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে সে। তখন টহলদারি বিএসএফ জওয়ানদের নজরে সে পড়ে যায়। কিন্তু জওয়ানদের দেখা মাত্র পালাতে শুরু করে হান। পরে তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে জওয়ানরা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল হান কোনও চিনা গোয়েন্দা এজেন্সির হয়ে কাজ করে। এখন তদন্তকারীদের অনুমান, হান আদতে আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত।