হুগলির চন্দননগরে স্বর্ণঋণ সংস্থায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় ধৃতদের গ্রেফতার করে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই প্রথম মোবাইল জ্যামার ব্যবহার করল পেশাদার কোনও গ্যাং। এমনটাই জানাচ্ছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে, ৩টি পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি, দেড়লক্ষ টাকা নগদ ও একটি সোনার চেন।
মঙ্গলবারই চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকার একটি স্বর্ণঋণ সংস্থার অফিসে হানা দেয় এক দল ডাকাত। গ্রাহক সেজে সংস্থার অফিসে ঢোকে তারা। এরপর আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শুরু করে লুঠপাট। সেই সময় সংস্থার কোনও এক কর্মী সাইরেন বাজিয়ে দিতেই নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্য এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ডাকাত দল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চন্দননগর থানার পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক সহ বিশাল বাহিনি। পুলিশকে দেখে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাত দল। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মোট ৩ জনকে।
এই প্রসঙ্গে বুধবার সিপি অর্ণব ঘোষ জানান, ডাকাত দল সঙ্গে করে ২টি মোবাইল জ্যামার নিয়ে আসে। যখন ডিসিপি চন্দননগর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঊর্ধঅবতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তখন বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। ডাকাত দলটি বিহারের এবং ধৃতরা প্রত্যেকেই হিন্দিভাষী বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থার আসানসোল শাখায় লুঠপাটের সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে সিপি জানান গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ডাকাত দলটির এই ধরনের বড়সড় লুঠপাটের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।