সোনার দোকানে ডাকাতি রুখতে গিয়ে মালদায় ডাকাতদের হাতে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। ঘটনাটি মালদার মালতিপুর এলাকার। এছাড়াও গুরুতর জখম আরও ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের চিকিত্সা চলছে। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মমিনুল হক (৩৫)।
ডাকাতি রুখতে গিয়েছিলেন মমিনুল
মঙ্গলবার রাতে মালতিপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে পালাচ্ছিল ৬ জনের একটি ডাকাতদল। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল ধাওয়া করে ডাকাতদের। একজনকে প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন। সেই সময়ই ডাকাতরা বোমা মারতে শুরু করে। একের পর এক বোমা। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মমিনুলের। ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। তাঁদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দুক ও বোমা নিয়ে সোনার দোকানে ঢোকে ডাকাতরা
জানা গিয়েছে, মালতিপুরে গৌতম সেনের সোনার দোকানে বন্দুক ও বোমা নিয়ে ডাকাতি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। দলে মোট ৬ জন ছিল। মমিনুল হকের বাড়ি কাশিমপুর এলাকায়। মালতিপুর থেকে কাশিমপুর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মমিনুল হক। ডাকাতদল তখন লুঠ করে পালাচ্ছিল। সেই সময় তাদের ধাওয়া করেন তিনি। বোমাবাজি শুরু করে ডাকাতরা। বোমার আঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মমিনুলের দেহ। আরও দুজন গুরুতর জখম হন।
ঘটনার তদন্ত করছে চাঁচল থানার পুলিশ। মমিনুল চাঁচল থানাতেই কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। ডাকাতদের এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।