এক তরুণীকে ফোনে উত্যক্ত করা এবং সেই ঘটনার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) শিবপুর থানা এলাকায়। শিবপুর (Shibpur) পুলিশ লাইনের সামনেই চলল দোকানপাট, এটিএম কাউন্টার ও গাড়ি ভাঙচুর। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতের নাম গুড্ডু চৌরাসিয়া। প্রতিবাদে শিবপুরের কাছে জিটি রোডে অবরোধ।
অভিযোগ, উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা এক তরুণীকে মোবাইলে ম্যাসেজ ও ফোন করে উত্যক্ত করছিল শিবপুরের কয়েকজন যুবক। বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল এই ঘটনা। প্রথমে কিছু না বললেও সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান ওই তরুণী। এরপর সোমবার রাতে ওই তরুণীর দিদি শিবপুর থানায় অভিযোগ করতে যান।
এদিকে এই খবর পেয়ে অভিযুক্ত যুবকরা মীমাংসার জন্য ওই তরুণীর দিদিকে ডেকে পাঠায়। এরপর শিবপুরের একটি অভিজাত শপিং মলের সামনে তরুণীর দিদি পৌঁছলে, ওই যুবকরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। গালিগালাজের পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ তরুণীর দিদির। এই ঘটনা চলার সময় এলাকারই কিছু যুবক এর প্রতিবাদ করলে পালটা প্রতিবাদীদের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। যার জেরে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা, যা গড়ায় মারামারি পর্যন্ত।
দু'পক্ষই এরপর শিবপুর পুলিশ লাইনের কাছে জড়ো হয়। লাঠি বাঁশ নিয়ে উভয়পক্ষের প্রায় শখানেক লোকজন রাস্তায় নেমে পড়ে। পুলিশ লাইনের কাছেই শুরু হয় ইট বৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় এটিএম, কয়েকটি গাড়ি ও বাইক। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। এই প্রসঙ্গে আয়ান আলি নামে আক্রান্ত এক যুবকের অভিযোগ, রাস্তার ওপরে ওই তরুণীকে গালিগালাজ করা হচ্ছিল, সেই ঘটনারই প্রতিবাদ করায় তাঁদের মারধর করা হয়েছে।
এদিকে এই সংঘর্ষ যখন চলছে, সেই সময় পুলিশের ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো ছিল বলেই অভিযোগ। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটলেও প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। একইসঙ্গে শিবপুর পুলিশ লাইনের সামনেই এই ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে। যদিও পরে পুলিশ ও RAF গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। পাশাপাশি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।