গরু পাচার (Cattle Smuggling) কাণ্ডে ধৃত এনামুল হককে (Enamul Haque) আবারও আদালতে পেশ সিবিআই-এর (CBI)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাকে। এর আগে গত ৩ তারিখ তাকে আদালতে পেশ করে সিবিআই। সেই সময় এনামুলকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই জেল হেফাজত শেষ হওয়ার পর বুধবার ফের তাকে তোলা হয় আদালতে। ইতিমধ্যেই এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এনামুল ও আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত গরু পাচার চক্রের প্রধান পাণ্ডা সন্দেহে গত কয়েক মাস আগে দিল্লি থেকে এনামুল হককে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার চক্র মূলত নিয়ন্ত্রণ করত এনামুলই। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও এনামুলের যোগ রয়েছে বলে জানতে পারেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। কারণ গরু পাচারের বিপুল অঙ্কের টাকার ভাগ সেই সব প্রভাবশালীদের পকেটেও যেত বলে মনে করছে সিবিআই।
অন্যদিকে এই চক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমার। জানা গেছে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭-র এপ্রিল পর্যন্ত এরাজ্যের মালদায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সময় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান গরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু খাতায় কলমে বাজেয়াপ্ত গরুর তথ্য নথিভুক্ত করা সময় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কম্যান্ডান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মূলত তাঁর নির্দেশেই বড় গরুগুলিকে বাছুর হিসেবে দেখান হয় সরকারি খাতায়। এর পর সেগুলিকেই কম দামে বিক্রি করা হয়। আর সেই সুযোগটাই নেয় পাচারকারীরা। বাছুরের দামে বড় গরু কেনার সুযোগ পেয়ে যায় তারা। আর এনামুল হক সেই পাচার চক্রেরই মাথা বলে জানা যাচ্ছে।