নারকোটিক্স বিভাগের সাব ইন্সপেক্টরের উপর অ্যাসিড হামলা যুবতীর। তদন্তে নেমে ওই যুবতী ও প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পেরেক লাগানো অস্ত্র, অ্যাসিডের বোতল এবং ঘটনায় ব্যবহৃত বাইক। ২৭ বছরের ওই আহত যুবককে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অভিযুক্তের নাম খুশি। তার প্রেমিকের নাম প্রিয়াংশু রাঠোর। কিন্তু ঘটনায় দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ঘটনা রাজস্থানের প্রতাপগড়ের।
পুলিশ জানতে পেরেছে, হামলাকারী খুশির সঙ্গে আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাব- ইন্সপেক্টর হর্ষবর্ধনের। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তারপর প্রিয়াংশুর সঙ্গে খুশির সম্পর্ক হয়। খুশি হর্ষবর্ধনকে খুন করে তার নতুন প্রেমিকের উপর ভালোবাসা প্রমাণ করতে চেয়েছিল। সেজন্য খুশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হর্ষবর্ধনের উপর আক্রমণ করে তার গায়ে অ্য়াসিড ঢালার চেষ্টা করেছিল।
প্রতাপগড়ের এসপি বিনীত বনসালের মতে, সাব ইন্সপেক্টর হর্ষবর্ধন সিং এবং প্রতাপগড়ের মেয়ে খুশি রাও-এর মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। প্রায় দেড় বছর পর ব্রেকআপ হয়ে যায়। এরপর প্রতাপগড়ের বাসিন্দা প্রিয়াংশু রাঠোরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে খুশির। তবে ব্রেকআপের পরও হর্ষবর্ধন ও খুশির মধ্যে বিবাদ চলছিল। তখন প্রিয়াংশু ও খুশি মিলে হর্ষবর্ধনকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। খুশি সাব ইন্সপেক্টরের বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং অ্যাসিড দিয়ে হামলা করে।
প্রতাপগড় থানার অফিসার দীপক বানজারা জানান, খুশি ও তার প্রেমিক একটি নির্জন জায়গায় হর্ষবর্ধনকে ডাকে। তারপর তার উপর হামলা চালায়। একা তাদের মোকাবিলা করতে পারেনি ওই প্রাক্তন প্রেমিক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় আহত সাব ইন্সপেক্টর পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে খুশি তাকে ফোন করে ডাকেন। তিনি গিয়েছিলেন। খুশি তাঁর বাইকের পিছনে বসে। হাতে একটা ব্যাগ ছিল। সেই সময় তাঁর পিছপ ধাওয়া করে প্রিয়াংশু। তখনই খুশি তার উপর হামলা করে। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাসিড হামলা। তখন হর্ষবর্ধন সেখানে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা এসে ওই পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।