scorecardresearch
 

Haridevpur Crime: পরকীয়ায় বাধা, হরিদেবপুরে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মায়ের

হরিদেবপুর থানায় মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল স্বয়ং কন্যা। ১৬ বছরের ওই কিশোরীর অভিযোগ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার মা নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে তাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

হরিদেবপুর থানায় মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল স্বয়ং কন্যা।  ১৬ বছরের ওই কিশোরীর অভিযোগ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার মা নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে তাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

হরিদেবপুর থানায় গিয়ে ১৬ বছরের কিশোরী অভিযোগ করেন, বাড়িতে ওই কিশোরী থাকার সময়ই তার মা আগুন লাগিয়ে দেন। দমকল এসে আগুন নেভানোর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা।  মায়ের সঙ্গে তার প্রেমিকের মোবাইলের কথোপকথনের প্রমাণ পুলিশকে দেখায় কিশোরী। পুলিশের দাবি, ষড়যন্ত্র এবং খুনের চক্রান্তের প্রমাণ মিলেছে। 

জানা গিয়েছে,  নাবালিকার মা খাদ্য দফতরের কর্মী, এবং  প্রেমিক বারাসাত পুলিশ জেলার কনস্টেবল।  বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের  মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মহিলার মেয়ে। তাই পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বছর ষোলের মেয়েকেই আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্তা রোড এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সোনালি চন্দ ও গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীর নাম প্রসূন মান্না। তিনি ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল। সোনালির স্বামী কৌশিক চন্দ পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁদের একটিই মেয়ে রয়েছে।

 পুলিশ সূত্রে খবর, গত মার্চে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কনস্টেবলের সঙ্গে পরিচয় হয় নাবালিকার মায়ের। । বিষয়টি জানতে পেরে যায় সোনালির মেয়ে। মায়ের সঙ্গে তার এই নিয়েই ঝামেলাও হয় একাধিকবার।  অভিযোগ, এরপরেই মেয়েকে বদ্ধ করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন সোনালি। বিষয়টি জানতে পেরে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়ে। গত ১ তারিখ পুলিশ মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনালিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সোনালি ও তাঁর প্রেমিকের মোবাইল সিজ় করেছে। তা থেকে মেয়েকে খুনের চেষ্টার পরিকল্পনার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

 মায়ের মোবাইল ফোনের টেলিগ্রাম চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে রাতে থানায় হাজির হয় ১৬ বছরের কিশোরী। প্রেমের পথে কাঁটা মেয়েকে কীভাবে সরাতে হবে, মাকে সেই ব্যাপারে চ্যাটে পরামর্শ দিচ্ছিল প্রেমিক। কীভাবে ফ্ল্যাটে আগুন লাগিয়ে মেয়েকে মারতে হবে, তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন প্রেমিক, এমনটাই ওই টেলিগ্রাম চ্যাট থেকে জানা যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গতকাল হরিদেবপুর থেকে মা ও চন্দননগর থেকে তাঁর প্রেমিক-কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। 

 
 

 

 

Advertisement