scorecardresearch
 

বাল্বের মধ্যে গোপন ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করত স্বামী-স্ত্রী, গ্রেফতার

কাপড়ের ব্যবসায়ী জৈনের বক্তব্য অনুযায়ী পাঁচ অগাস্ট মহিলা তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য নিজের বান্ধবীর বাড়িতে ডাকেন। দীপক সেখানে পৌঁছন। সেখানে তাকে চা দেওয়া হয়। দীপকের দাবি মহিলা তাঁর চায়ের নেশার দ্রব্য মিশিয়ে দেয় যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার অচেতন হওয়ার সুযোগে তার অশ্লীল ভিডিও শুট করা হয়। ভিডিওর বিষয়ে দীপক ২২ অগাস্ট জানতে পারেন। এক যুবক তাঁকে ওই ভিডিও পাঠায়।

Advertisement
বাল্বের মধ্যে গোপন ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করত স্বামী-স্ত্রী, গ্রেফতার বাল্বের মধ্যে গোপন ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করত স্বামী-স্ত্রী, গ্রেফতার
হাইলাইটস
  • বাল্বের মধ্যে গোপন ক্যামেরা
  • অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করত স্বামী-স্ত্রী
  • অবশেষে গ্রেফতার চক্রের একাধিক

মধ্যপ্রদেশের গুনাতে সেক্সটর্সনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করা চক্রের হদিশ মিলেছে। ব্ল্যাকমেইলিং এর শামিল এক মহিলা সমেত ছয়জনের গ্রেফতার হওয়ার খবর সামনে এসেছে। ধরা পড়া চক্রের মূল পান্ডা বিজেপি নেতা রাম সোনি বলে দাবি করা হয়েছে। রাম সােনি বর্তমানে পিজি কলেজের জন ও ভাগীদারী সমিতির সদস্য।

আসলে গুনাতে কাপড় ব্যবসায়ী দীপক জৈনকে একজন মহিলা দ্বারা ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী দীপক জৈন জানিয়েছে যে, তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। জুলাই মাসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। মহিলা তাঁকে ভাই বানিয়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকা প্রথমবার গাড়ির ইএমআই দেওয়ার নাম করে ৩ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয়বার অসুস্থতার কথা বলে ২৫০০ টাকার নেয়। মহিলা সমিতি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কাপড়ের ব্যবসায়ী জৈনের বক্তব্য অনুযায়ী পাঁচ অগাস্ট মহিলা তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য নিজের বান্ধবীর বাড়িতে ডাকেন। দীপক সেখানে পৌঁছন। সেখানে তাকে চা দেওয়া হয়। দীপকের দাবি মহিলা তাঁর চায়ের নেশার দ্রব্য মিশিয়ে দেয় যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার অচেতন হওয়ার সুযোগে তার অশ্লীল ভিডিও শুট করা হয়। ভিডিওর বিষয়ে দীপক ২২ অগাস্ট জানতে পারেন। এক যুবক তাঁকে ওই ভিডিও পাঠায়।

বাল্বের মধ্যে গোপন ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করত স্বামী-স্ত্রী, গ্রেফতার

তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়

দীপক জৈন দাবি করে, এরপর তাঁকে মহিলাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। তিন লাখ টাকা ডিমান্ড করে হুমকি দিতে থাকে। যদি পয়সা না দেওয়া হয়, তাহলে অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে দেওয়া হবে। ভয়ে প্রথমে তিনি কাউকে বিষয়টি জানাননি। কিন্তু যখন বুঝতে পারেন তাঁকে বেশি ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে, তখন আমি পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান।

পুলিশ অফিসার রাকেশ কুমার সাগর জানিয়েছেন যে মামলা সামনে আসার পরে তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে বড় একটি রাকেটের সন্ধান পায়। অভিযুক্ত মহিলা এবং তার স্বামী দেবেন্দ্র যাঁদং একটি সেক্স রেকেট অপারেট করে । সেখানে বিজেপি নেতা সোনিও রয়েছে।

Advertisement

বাল্বের ক্যামেরায় হিডেন ক্যামেরা

পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে মহিলা একাধিক ব্যবসায়ীকে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ফাঁসায়। যাতে ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পুলিশ তল্লাশি করে কি বলবে, হিডেন ক্যামেরা উদ্ধার করে যাতে ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে অশ্লীল ডিভিডি সমেত অন্যান্য উপকরণ বাজেয়াপ্ত করে, ওই মহিলার রাম সোনি, অমিত কোচবন্দিয়া, মোহন ওঝা, আশিস সেন, দেবেন্দ্র জাদৈনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিভিডি ক্যামেরা, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

 

Advertisement