স্ত্রী অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে সেই সন্দেহে তাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করল স্বামী। সেখানেই উপস্থিত ছিল শাশুড়ি। তাকেও কোপ মারা হয়। কিন্তু তারপরই আত্মহত্য়া করে স্বামী। স্ত্রী ও শাশুড়িকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে মারা যায় শাশুড়ি। ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বর্ধমানের আউসগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়।
সকালেই আদিবাসী পাড়ার একটি গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নাম সোম সোরেন। স্ত্রী সুকতি সোরেনের সঙ্গে অশান্তি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, সোম একা থাকছিল। স্ত্রী-র সঙ্গ ছেড়েছিল বেশ কয়েকমাস আগেই। ওই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরকীয়ায় জড়িয়েছে স্ত্রী, অন্য এক পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে এই সন্দেহে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত ওই বাড়িতে। অশান্তি এমন মাত্রাতে পৌঁছয় যে, সালিশি সভাও ডাকা হয়। তাতেও রফাসূত্র মেলেনি। অবশেষে স্ত্রী-কে ছেড়ে অন্য এক বাড়িতে থাকতে শুরু করে সোম। কিন্তু পরিবারের থেকে দূরে থাকার কারণে সে মানসিক অবসাদের শিকার হয়। আর তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার এক আত্মীয়র বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল সুকতি। সঙ্গে ছিল তার মা মুঙ্গুলিও। খাওয়া দাওয়ার পর তারা শুয়ে পড়ে। রাতের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে হাজির হয় সোম। অভিযোগ, স্ত্রী ও শাশুড়িকে নির্বিচারে কোপাতে শুরু করে সে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে ছুটে আসে আত্মীয় প্রতিবেশীরা। তখন সেখান থেকে চম্পট দেয় সোম। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল সুকতি এবং তাঁর মা মুঙ্গুলি। দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মুঙ্গুলিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রাতেই বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সুকতিকে। এখন সে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এদিকে বুধবার সকালে ওই গ্রামের কাছেই একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় সোমের। পুলিশ সেই দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত হবে।