মদ্যপ বাইক বাহিনী যুবকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার আলিপুরদুয়ার শহরের বুকে স্কুটিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মদ্যপ মহিলারাও। যার জেরে অতিষ্ট শহরবাসী। এমনকী স্কুটি বাহিনীর দৌড়াত্মের জেরে মাঝে মাঝে ঘটে যাচ্ছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। শহরের বিলাসবহুল হোটেলগুলির পানশালায় উপচে পড়ছে স্কুল, কলেজের যুবতীদের ভীড়। দুর্গা পুজো থেকে শুরু করে ছটপুজো পর্যন্ত জেলা শহরের বুকে মদ্যপ মহিলাদের তাণ্ডবে এমন চার-পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে করোনা বিধির জন্য ব্রেথ আ্যনালাইজার মেশিন দিয়ে মদ্যপ যুবক-যুবতীদের শনাক্ত করতে পারছে না ট্রাফিক পুলিশ। আর সেই সুযোগেই জেলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মদ্যপ যুবক-যুবতীরা।
ছটপুজোর রাতে জেলা শহরের বক্সা ফিডার রোডে মদ্যপ দুই যুবতী উলটো পথে বিপদজনক ভাবে স্কুটি চালিয়ে এক সাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ধাক্কার জেরে মদ্যপ দুই যুবতী ও সাইকেল আরোহী রাস্তায় পড়ে যায়। স্কুটির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় সাইকেলটি। আহত হন সাইকেল আরোহী বিকাশ সাহাও। এরপর মদ্যপ দুই যুবতীই উলটে সাইকেল আরোহীকে মারধর করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সে সময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচলতি মানুষজন ওই দুই যুবতীকে ঘিরে ধরেন। যার জেরে তাঁদের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবতীরা। এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুই যুবতীকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের লোকদের ডেকে অভিযুক্ত ওই দুই যুবতীকে পিআর বন্ডে মুক্তি দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে এদিন রাতেই শহরের কোর্ট মোড়ের এক অভিযাত হোটেলের পানশালায় মদ খাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায় আরও এক যুবতী। খোঁজ না পেয়ে ওই যুবতীর পরিবার আলিপুরদুয়ার থানায় বিষয়টি জানায়। পরে জানা যায় ওই যুবতী বার থেকে বেড়িয়ে ফের মদ্যপানের জন্য এক যুবকের মোটরসাইকেলে চেপে জাতীয় সড়কের ধারে ধাবায় যায়। রাত ১ টা নাগাদ বাড়ি ফেরে সে।
ইতিমধ্যেই একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় শহরের বারগুলিতে পুলিশি নজরদারির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বোস বলেন, হোটেলের বারগুলিতে উঠতি ছেলে মেয়েদের ভীড় উপচে পরছে। পুলিশের উচিত এই বিষয়ে নজরদারি করা। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন বারগুলিতে পুলিশ নজর রাখছে এবং হোটেলের মালিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুলিশের কাছে ব্রেথ আ্যনালাইজার মেশিন থাকলেও করোনা বিধিনিষেধের জন্য তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।