scorecardresearch
 

২ মেয়ে সহ মহিলাকে 'অপহরণ' মালদায়, ১১ দিন পর মুক্তি

মহিলার অভিযোগ গত মে মাসের ১১ তারিখ অবিরাম মণ্ডল দলবল নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দুই মেয়েকে মালদা শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে অপহরণ করে। তাঁদের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে এবং সাড়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করে নির্যাতন চালাতে থাকে। যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালান হয় বলে অভিযোগ। ১১ দিন পর ওই মহিলা তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনওরকমে কিছু টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান। 

Advertisement
অপহৃতা মহিলা অপহৃতা মহিলা
হাইলাইটস
  • মহিলা ও তাঁর ২ মেয়েকে 'অপহরণ'
  • যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ
  • আদালতের নির্দেশে তদন্তে পুলিশ

প্রকাশ্য রাস্তা থেকে এক মহিলা ও তার দুই মেয়েকে অপহরণ। টানা ১১ দিন ঘরে আটকে রেখে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অবশেষে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে মুক্তি মহিলার। মালদার (Malda) ঘটনা। মহিলার দাবি,পরে মোথাবাড়ি থানার দ্বারস্থ হলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। পাঠান হয় ইংরেজবাজার থানায়। ইংরেজবাজার থানাতেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়। অবশেষে সুবিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তারপরের আদালতের নির্দেশেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

মুম্বইয়ের থানের বাসিন্দা এক মহিলা জানান, তাঁর স্বামী সেখানে কন্ট্রাক্টরের কাজ করতেন। তাঁরাও পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। স্বামীর পৈত্রিক ভিটে মালদার মোথাবাড়ি আমলিতলা এলাকায়। তাঁর স্বামী তাঁদের ছেলের নামে একটি জমি কেনেন। গত বছর জুন মাসে তাঁর স্বামী প্রয়াত হন। এরপর তাঁদের টাকার প্রয়োজন হয়। সেই সময় মোথাবাড়ির বাসিন্দা অবিরাম মণ্ডলের কাছ থেকে তিনি বেশকিছু টাকা ঋণ নেন। তারপর সেই জমি অবিরাম মণ্ডলকে বিক্রি করে টাকা শোধ করার কথা বলেন ওই মহিলা। কিন্তু অবিরাম তাঁর কাছে টাকার দাবি করেন। এদিকে জমিটি যেহেতু অন্যের নামে রয়েছে তাই সেটি বিক্রি করতে গেলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। আর সেই কাজেই মালদায় আসেন তিনি।

মহিলার অভিযোগ গত মে মাসের ১১ তারিখ অবিরাম মণ্ডল দলবল নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দুই মেয়েকে মালদা শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে অপহরণ করে। তাঁদের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে এবং সাড়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করে নির্যাতন চালাতে থাকে। যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালান হয় বলে অভিযোগ। ১১ দিন পর ওই মহিলা তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনওরকমে কিছু টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান। 

Advertisement

অপহরণকারীদের কাছে থেকে মুক্তি পেয়ে মোথাবাড়ি থানায় যান ওই মহিলা। কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি মালদা শহরে ঘটেছে তাই মোথাবাড়ি থানার পুলিশ তাঁকে ইংরেজবাজার থানায় যাওয়ার কথা বলে। সেইমতো ইংরেজবাজার থানায় গেলে সেখানেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয় বলে দাবি মহিলার। এদিকে বাকি টাকার জন্য অবিরাম মণ্ডল ও তার দলবল ওই মহিলাকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে বলেও অভিযোগ। যার জেরে বাধ্য হয়ে মালদা জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। এরপর জেলা আদালত ইংরেজবাজার থানাকে এফআইআর করে গোটা ঘটনার তদন্ত ও রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত অভিরাম মণ্ডল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্নমহলে। 

 

Advertisement