মাদককাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি (BJP) যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে (Pamela Goswami) শনিবার পেশ করা হয় আলিপুর জেলা আদালতে। এদিন শুনানিতে জোর সওয়াল করেন দু'পক্ষের আইনজীবী। পামেলার আইনজীবী অমলেন্দু রায় আদালতে বলেন, 'পূর্ব পরিকল্পনা মতো তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে।' ভরা এজলাসে বিচারকের সামনে পামেলার আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, 'এফআইআর দায়ের করার আগেই কীভাবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ?' আইনজীবীর দাবি, 'পুলিশের নথিতে ১৯ তারিখ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পামেলাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অথচ জেনারেল ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়, এবং তারপরে হয়েছে এফআইআর।' সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন, 'কী করে রাম জন্মাবার আগে রামায়ণ রচনা হয়ে গেল?' এমনকি পামেলার তল্লাশি চালানোর সময় কেন কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন আইনজীবী।
অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, '১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সূত্র মারফৎ পুলিশ জানতে পারেন ১৯ তারিখ বিকেল ৪টে ৪৫ নাগাদ কয়েক কোটি টাকার মাদক পাচারের ডিল হতে চলেছে। সেই মতো আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ এবং এনসিবি। অভিযুক্তকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। উত্তরে অসংলগ্নতা ধরা পড়লে, আটক করা হয়। পরে মেমো দিয়েই গ্রেফতার করা হয়।' পামেলা গোস্বামী ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রবীর দে নামে আরও একজনকে। ধৃতদের কাছ থেকে ২৫ প্যাকেট কোকেন বাজেয়াপ্ত হয়েছ বলেও আদালতে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে পামেলাকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত শুক্রবারই নিউ আলিপুর থেকে মাদক সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে। যদিও তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ধৃত বিজেপি যুব নেত্রীর। রাকেশ সিং এই কাজ করিয়েছে বলেও পালটা অভিযোগ করেন পামেলা গোস্বামী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।