আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার রাতে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার আগে সঞ্জয় সন্ধেবেলা কী কী করেছিল, কোথায় গিয়েছিল এমন একাধিক তথ্য সামনে আসছে। সূত্রের খবর, সেদিন রাতে সোনাগাছির নিষিদ্ধপল্লিতে গিয়েছিল সঞ্জয়।
সূত্রের খবর, ৮ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালের পিছনে মদ্যপান করে সঞ্জয়। তার সঙ্গে ফোর্থ ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাত্রি ১২ টার পর উত্তর কলকাতার সোনাগাছিতে যায়। সূত্রের দাবি, সোনাগাছির এক মহিলার বাড়িতে ঢোকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে সঞ্জয় বাইরে দাঁড়িয়েছিল।
এরপর রাত ২টো নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার চেতলা সংলগ্ন আর এক নিষিদ্ধপল্লিতে যায় সঞ্জয়। তখনও সঞ্জয় বাইরে দাঁড়িয়েছিল। সূত্রের দাবি, সেই সময় সঞ্জয় মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সে চেতলার রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক মহিলাকে উত্যক্ত করে। ফোনে এক মহিলাকে নগ্ন ছবিও পাঠাতে বলে।
এরপর সঞ্জয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ফিরে আসে। তার সঙ্গে থাকা অপর সিভিক ভলান্টিয়ার ভাড়া করা বাইকে বাড়ি চলে যায়। তবে সঞ্জয়কে আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভোর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদও দেখা যায়।
এরপর ভোর ৪টা ৩ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের সেমিনার হলে যায়। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় স্বীকার করে, সে সম্পূর্ণ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। তারপর অপরাধ করে। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় সঞ্জয় স্বীকার করেছে, ওই তরুণী চিকিৎসক ঘুমিয়েছিলেন। তখনই সে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সূত্রের এও দাবি, পুলিশি জেরার মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সঞ্জয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সেমিনার হলে চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরে মামলার তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। তাদের হেফাজতেই রয়েছে সঞ্জয়। সূত্রের খবর, ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। তার কাছ থেকে একাধিক তথ্যও উঠে এসেছে। এদিকে এই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার প্রায় ৭ ঘণ্টা নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে এসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সন্দীপের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে খবর সূত্রের।