আরজি কর কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে দফায় দফায় অশান্তি হচ্ছে। উত্তাল দেশও। সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছে অনেকেই। বিজেপিও ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সন্দেশখালিতে বিজেপি জবাব পেয়েছিল, ভোটবাক্সের ফলফল প্রমাণ করেছিল বিজেপির চক্রান্ত করেছে সন্দেশখালিতে। বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, 'গোটা দেশে একজনই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব স্ট্রাগল করে এই জায়গাতে এসেছেন। রাস্তায় রাজনীতি করতেন। বহুবার আহত হয়েছেন। কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু রাজনীতি ছাড়েননি। তারপর নিজেকে প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গোটা দেশের গর্ব হওয়া দরকার। শুধু তৃণমূল নয়, গোটা দেশের সব মানুষের এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য গর্ব হওয়া দরকার। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গোটা দেশকে সুপথে চালিত করার নিরন্তর করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
এরপরই শত্রুঘ্ন দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বিজেপি। তিনি বলেন, 'আমাদের বিরোধী দল বিজেপির সব সময় টার্গেটে থাকেন মমতা। যখনই কোনও ঘটনা ঘটে তখনই বিজেপির তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি করা হয়ে থাকে। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই ঘটনা জঘন্য। তবে সরাসরি মমতার উপরই অভিযোগ আনা হয়। তাকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়। ওখানেও বলা হয়েছিল পদত্যাগ জমা দাও। আরও অনেক অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল। আপনার সম্মান নেই? এমন কথাও বলা হয়েছিল মমতাকে লক্ষ্য করে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চক্রান্তের পর্দা ফাঁস করেছিল সেটা আপনারা দেখেছেন। সন্দেশখালিতে মানুষ জবাব দিয়েছিল। ভোট তার প্রমাণ। বিজেপি যে চক্রান্ত করেছিল, তা প্রমাণ হয়ে যায়। এখানেও যদি কোনও ত্রুটি হয়ে থাকে তার তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই তদন্ত করছে। কোর্ট দেখছে পুরো বিষয়টা। অথচ তার জন্য অপেক্ষা না করে এখন থেকে অনেক কথা বলা হচ্ছে। মমতাকে ইস্তফা দিতে বলা হচ্ছে। আমিও তো তাহলে বলতে পারি যে, মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কারণ এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেগুলো কাম্য ছিল না।'
প্রসঙ্গত, আরজি কর চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। বুধবার রাতে হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ভাঙচুর চালায়। ঘটনায় একাধিক জন গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই তবে এই তাণ্ডব কারা চালাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে।