Moradabad Ajay Julie love Story: উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে পাকিস্তানি সীমা হায়দারের মতোই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বাসিন্দা জুলি ফেসবুকে প্রেমে পড়ে মোরাদাবাদের প্রেমিক অজয়ের কাছে আসেন। মেয়েটি হিন্দু ধর্ম অবলম্বন করে প্রেমিককে বিয়েও করেন এবং কিছুদিন পর স্বদেশে ফিরে যান। এরপর জুলি অজয়কে কোনো এক অজুহাতে বাংলাদেশে ডেকে পাঠায়। এখন জুলি রক্তে ভেজা অজয়ের ছবি পাঠিয়েছেন মোরাদাবাদে থাকা স্বজনদের কাছে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মোরাদাবাদে এক মহিলা এসএসপির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এতে অভিযোগকারী তার ছেলেকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস আগে তার ছেলে অজয় জুলি নামে এক বাংলাদেশি মহিলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করত।
এরপর বাংলাদেশি জুলি তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে হালিমাকে নিয়ে ৩ মাস আগে মোরাদাবাদে আসে এবং কিছু সময় থাকার পর মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। শুধু তাই নয়, হিন্দু রীতি অনুযায়ী অজয়কে বিয়েও করেন তিনি। ওই যুবকের মা সুনিতা জানান, বাংলাদেশি নারী জুলি তার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে মোরাদাবাদ ছেড়ে বাংলাদেশে যান এবং ছেলে অজয়ও তার সঙ্গে যায়। কয়েকদিন পর অজয় ফোন করে জানায় যে সে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
ফোন করে পরিস্থিতি জানান
অভিযোগকারী মহিলা সুনিতা বলেন, তার ছেলে অজয় কিছুদিন আগে ফোন করে জানায় যে সে বাংলাদেশে আছে, ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসবে। কিন্তু কিছু দিন পর, অজয়ের আবার ফোন আসে এবং সে তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে এবং ফোনটি কেটে যায়।
অজয়ের রক্তে ভেজা ছবি এলো
এরপর সুনীতার হোয়াটসঅ্যাপে ছেলে অজয়ের রক্তে ভেজা ছবি আসে। ছবিগুলি দেখে যুবকের মা আতঙ্কিত হয়ে মোরাদাবাদ এসএসপির কাছে তার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছেন।
যুবকের মা আবেদন করেছেন
“প্রায় তিন মাস আগে, আমার ছেলে অজয় বাংলাদেশে বসবাসকারী জুলি নামের এক মহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বলে, যিনি তার ঠিকানা গাজীপুর থানা জয়দেবপুর বলে জানান। জুলি তার ১১ বছরের মেয়ে হালিমাকে নিয়ে মোরাদাবাদে আমার বাড়িতে এসেছিল। যার পাসপোর্ট ও ভিসা দুটোই ছিল। এখানে আসার পর, তার ধর্ম পরিবর্তন করে, জুলি আমার ছেলে অজয় সাইনিকে বিয়ে করে। জুলির পাসপোর্ট আর ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, তাই সে বে আমাকে বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত নামিয়ে দাও। আমি আমার পাসপোর্ট এবং ভিসা আবার তৈরি করে পরে ফিরে আসব। আমার ছেলে তাকে ছাড়ার জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়েছিল। এরপর আমার ছেলে ফোন করে জানায় যে আমি ভুল করে জুলির সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে গেছি। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসবে। এই ঘটনার পর প্রায় দুই মাস কেটে গেছে। এখন একই নম্বর থেকে আমার মোবাইলে আমার ছেলের রক্ত পাঠানো হচ্ছে। জুলি এবং তার অন্যান্য সঙ্গীরা যেন আমার ছেলের প্রতি অপ্রীতিকর কিছু না করে। দয়া করে আমার ছেলেকে ভারতে ফিরিয়ে আনুন এবং তাকে সাহায্য করুন।"