scorecardresearch
 

গেম খেলা নিয়ে বচসা! থামাতে গিয়ে রহড়ায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

মোবাইল গেম খেলা নিয়ে বচসা। আর তা থামাতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আক্রান্ত পুলিশ। দিনভর স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রহড়ার রইয়াপাড়া এলাকা।

Advertisement
স্থানীয়দের হামলার মুখে পুলিশ। প্রতীকী ছবি- ইন্ডিয়া টুডে স্থানীয়দের হামলার মুখে পুলিশ। প্রতীকী ছবি- ইন্ডিয়া টুডে
হাইলাইটস
  • রহড়ায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ
  • গেম খেলা নিয়ে বচসা
  • গ্রেফতার ১৫

মোবাইল গেম খেলা নিয়ে বচসা। আর তা থামাতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আক্রান্ত পুলিশ। দিনভর স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রহড়ার রইয়াপাড়া এলাকা।

কী হয়েছিল ওই এলাকায়

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। ওই এলালাকায় গেম খেলা নিয়ে বচসায় জড়ায় স্থানীয় কয়েকজন কিশোর। পরে সেই বচসা থামাতে স্থানীয় একটি ক্লাবে সালিশি সভা বসে।  অভিযোগ, সেই সালিশি সভায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে দুই দল। খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ এলাকায় যাওয়া মাত্রই ইটবৃষ্টি শুরু হয়। আচমকা স্থানীয়দের কয়েকজন চড়াও হয় পুলিশের উপর। এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ।

জখম পুলিশকর্মীকে নিয়ে তড়িঘড়ি এালাকা ছাড়েন বাকি পুলিশকর্মীরা। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। এলাকায় চলে ধরপাকড়। মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তল্লাশির নামে বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আচমকা ক্লাবে ঢুকে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটায় পুলিশ। তখন সবাই দৌঁড়তে থাকতে। তাতেই ধাক্কা লেগে ওই পুলিশকর্মী জখম হন।

আচমকা কেন অশান্তি

যদিও আচমকা ক্লাবে যাওয়া মাত্রই কেন হামলা হল তা ভেবেও উঠতে পারছে না পুলিশ। অনলাইন গেমে অশান্তির জেরে দুই দল কিশোরের মধ্যে হাতাহাতি বেধেছিল। সেটা থামাতে সালিশি সভা বসে ক্লাবে। পরে সেখানেও বাঁধে গণ্ডগোল। সেখানেও শুরু হয় বচসা ও হাতাহাতি। আর তা থামাতে গিয়ে রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। 

গোটা এখনও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনার পরেই স্থানীয় থানার সামনে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এালাকাবাসীরা। তাঁদের, অভিযোগ, রাতের বেলায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বেশি কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকে। বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

Advertisement