scorecardresearch
 

হাওড়ায় মা-কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী ছেলে

বালির নিশ্চিন্দা থানা এলাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়া বেলুড় হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিত্‍সাধীন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ছেলের এলোপাথাড়ি কোপে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রচুর রক্তক্ষরণ ইতিমধ্যেই হয়েছে।

Advertisement
ছবিটি প্রতীকী ছবিটি প্রতীকী
হাইলাইটস
  • মায়ের উপর রেগে গিয়ে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাল ছেলে
  • বালির নিশ্চিন্দা থানা এলাকার শান্তিনগরের ঘটনা
  • মায়ের একাধিক বিষয়ে তারকের আপত্তি ছিল।

পারিবারিক বিবাদ কতটা ভয়াবহ নৃশংসতার রূপ নিতে পারে, তার উদাহরণ এই খবর। মায়ের উপর রেগে গিয়ে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাল ছেলে। তারপর আত্মহত্যা করল। ঘটনাটি হাওড়ার বালির ঘটনা।

বালির নিশ্চিন্দা থানা এলাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়া বেলুড় হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিত্‍সাধীন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ছেলের এলোপাথাড়ি কোপে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রচুর রক্তক্ষরণ ইতিমধ্যেই হয়েছে। 

ঠিক কী ঘটেছিল?


বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে নিত্যদিনই অশান্তি হত। পরিবারের বড়ছেলে তারক পাল দীর্ঘদিন ধরেই বেকার। কোনও রোজগার নেই। রোজ রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। মায়ের একাধিক বিষয়ে তারকের আপত্তি ছিল। সেই নিয়ে রোজ তুমুল অশান্তি হত। বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ আকার নেয়। 

অশান্তি চলাকালীন রাগে উন্মত্ত অবস্থায় একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে তারক তার মাকে কোপাতে শুরু করে। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় তারক। প্রতিবেশীরা যখন প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেছে, তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর। জ্ঞান নেই। বেলুড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

গত ১৩ অক্টোবর এরকমই একটি পারিবারিক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায়। ৮ বছরের মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হন এক ব্যক্তি। পেশায় সোনা ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তির নাম অভিজিত্‍ রায়। পরিবারের লোকেদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই নানা অশান্তিতে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিজিত্‍। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নানা অত্যাচার। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিতের শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


Advertisement