প্রতিবাদ করে আক্রান্ত সাংবাদিক। পেটানো হলো রাস্তায় ফেলে। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈচিগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। আক্রান্ত সাংবাদিকের নাম পলাশ মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অুগামীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাজ সেরে বৈচিগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক পলাশ মুখোপাধ্যায়। বৈচিগ্রাম লেভেল ক্রসিং পার করেই তিনি দেখতে পান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জাহির আব্বাসের উপস্থিতিতে জনা পনেরো যুবক একজনকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছে। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করায়, পলাশবাবু জানতে পারেন চোর সন্দেহ মারধর করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানতে পেরে মারধর না করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন পলাশবাবু। অভিযোগ, তারপরেই পলাশ মুখোপাধ্যায়ের ওপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত প্রধান জাহির আব্বাসের অনুগামীরা। জাহির ঘনিষ্ঠ আসরাব আলি তার সঙ্গীদের নিয়ে ব্যাপক মারধর করে ওই সাংবাদিককে। মারধরের জেরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। রাতেই পাণ্ডুয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় পলাশ মুখোপাধ্যায়ের। এরপর বেশকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে।
এদিকে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" পাশাপাশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "কোনও প্রকারের দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।" অন্যদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দায় সরব বিভিন্নমহল। দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই।