scorecardresearch
 

Illicit Relationship: স্বামীর দত্তক-পুত্রের সঙ্গেই মায়ের অ্যাফেয়ার, জানাজানি হওয়াতেই...

স্বামী, স্ত্রী আর দত্তক নেওয়া ছেলে... । তারপর এক রাতেই ঘরে রক্তক্ষয়ী খেলা। তদন্তে এমন একটি সত্য বেরিয়ে আসে যা তাদের পরিবার সহ গ্রামবাসীকে হতবাক করে দেয়। স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন স্ত্রী আর স্বামীর দত্তক নেওয়া সন্তান। স্বামীর দত্তক নেওয়া ছেলের সঙ্গে গ্রামের এক ব্যক্তিকে আড়াই লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়। পুরো ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার উসরাহার থানার।

Advertisement
ইটাওয়াতে ধৃত স্ত্রী ও দত্তক নেওয়া পুত্র ইটাওয়াতে ধৃত স্ত্রী ও দত্তক নেওয়া পুত্র

স্বামী, স্ত্রী আর দত্তক নেওয়া ছেলে... । তারপর এক রাতেই ঘরে রক্তক্ষয়ী খেলা। তদন্তে এমন একটি সত্য বেরিয়ে আসে যা তাদের পরিবার সহ গ্রামবাসীকে হতবাক করে দেয়। স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন স্ত্রী আর স্বামীর দত্তক নেওয়া সন্তান। স্বামীর দত্তক নেওয়া ছেলের সঙ্গে গ্রামের এক ব্যক্তিকে আড়াই লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়। পুরো ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার উসরাহার থানার।

উল্লেখ্য, এই খুনের আসল কারণ অবৈধ সম্পর্ক। মৃত স্মামীর দত্তক নেওয়া ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্ত্রীয়ের। নিহত ব্যক্তি বিষয়টি অবগত ছিলেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামীকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন ওই নারী। খুনিকে ২৭ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়, এরপর রাতে ঘরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী খেলা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীকে হত্যা করা হয়।

১৫ নভেম্বর, মনোজ জাটভের মৃতদেহ বাড়ির ভিতরে পাওয়া যায়। মনোজের স্ত্রীর খবরে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যখন পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হয়, তখন জানা যায় যে সম্প্রতি মৃত মনোজ একই গ্রামের ২৩ বছর বয়সী রাহুল কুমারকে দত্তক নিয়েছিলেন। একই রাহুলের সঙ্গে মনোজের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। 

আরও পড়ুন

তাই মনোজের স্ত্রী ও দত্তক পুত্র, যারা অবৈধ সম্পর্কের অন্তরায় হয়ে উঠছিল, তারা মিলে ১৫ নভেম্বর রাতে তাকে খুন করে। আড়াই লক্ষ টাকা খুনের চুক্তি দেওয়া হয়েছিল গ্রামের বিকাশ জাটভকে। মনোজের স্ত্রী বিকাশকে ২৭ হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন। বর্তমানে পুলিশ এ তথ্য প্রকাশ করে হত্যাকারীর স্ত্রী ও দত্তক পুত্র রাহুলকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার কাস্তে ও কাপড় ধোওয়ার কাজে ব্যবহৃত কাঠের ব্যাট উদ্ধার করা হয়েছে। বিকাশ পলাতক থাকলেও তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

প্রথমে খুন, পরে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে  
সম্প্রতি দিল্লি থেকে বাড়িতে এসেছেন মনোজ জাটভ। ঘটনার দিন রাতে মনোজ যখন ঘুমাচ্ছিল, তখন তাঁর স্ত্রী ও রাহুল বিকাশকে ডাকেন। এরপর স্ত্রী মনোজের গায়ে কম্বল পরিয়ে দেয় এবং রাহুল-বিকাশ তাকে কাস্তে ও কাঠের ব্যাট দিয়ে খুন করে। অপরাধ করার পর পুলিশকে জানানো হয় তার স্বামী মনোজকে কেউ খুন করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে স্ত্রীর বক্তব্য মেলেনি। যে কারণে বাড়ির লোকটির ওপর প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পুলিশের।

Advertisement

এই ক্ষেত্রে ইটাওয়ার এসএসপি সঞ্জয় কুমার বলেছেন যে উশরাহার থানা এলাকায় মনোজ জাটভ নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত ও আলামত সংগ্রহের পর সন্দেহ আরও গভীর হয় বাড়ির লোকটির ওপর। সন্দেহের ভিত্তিতে স্ত্রী ও দত্তক পুত্রকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনাটি জানা যায়। দু’জনেই অপরাধ স্বীকার করেছেন। 

বর্তমানে, মৃত মনোজের স্ত্রী এবং তার দত্তক পুত্র রাহুলকে ১০৩ বিএনএস ধারায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাস আগে রাহুলকে দত্তক নিয়েছিলেন মৃত। সম্প্রতি তাঁর নজরে আসে যে রাহুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
 

Advertisement