স্বামীকে গায়ে আগুন দিয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার আন্দুলের পূর্বপাড়ায়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সাঁখরাইল থানার পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ বছর আগে সাঁকরাইলের মাশিলা রায়পাড়ার বাসিন্দা কালিপদ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মুনমুন রায়ের। পেশায় শিল্পী কালিপদ রায় ছবি আঁকা শেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানও গাইতেন। দম্পতির একটি ১৩ বছরের মেয়েও আছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মুনমুন টাকাপয়সা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি করত। স্বামী যাতে আরও বেশি টাকা রোজগার করেন তার জন্যে তাঁর ওপর মানসিক চাপও সৃষ্টি করত।
বাধ্য হয়ে কালিপদ রায় ছবি আঁকা শেখানোর পাশাপাশি ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেয়। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। বছর দুয়েক আগে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় স্ত্রী। তখন থেকেই মুনমুন আলাদা থাকতে শুরু করে। এ বছর পুজোর একাদশীর দিন কালিপদ আন্দুল পূর্বপাড়ায় তাঁর স্ত্রীর কাছে যান। প্রতিবেশীরা বাড়ির বাইরে স্বামী ও স্ত্রী কে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখেন। তারপরেই স্ত্রীর বাড়ির কাছে কালিপদকে রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। ওই অবস্থায় তিনি বাড়ির সামনে বেশ কিছুক্ষণ পড়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও স্ত্রী বা তার বাড়ির লোকজন কেউ বাইরে আসেনি বলে অভিযোগ।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালিপদকে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের পরিবারের লোকজন মুনমুন রায়ের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মুনমুনকে। শনিবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।