রাত সাড়ে এগারোটায় মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে যুবতীকে নৃশংসভাবে খুন। পেটে ও গলায় ছুরি চালিয়ে যুবতীকে খুন করে যুবক। যুবতী চিৎকার করলে সেখানে আসেন আবাসিকরা। সেখান থেকে পালিয়ে যায় যুবক। পলাতক সেই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনা বেঙ্গালুরুর কোরামঙ্গলার। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ অভিষেক নামের ওই যুবক মেয়েদের হস্টেলে যায়। সেখানেই থাকতেন যুবতী। তিনি দরজা খোলেন। আর তারপরই তাঁকে খুন করে অভিষেক। মাটিতে বসিয়ে একের পর এক ছুরির আঘাত করে মেয়েটির উপর। মাটিতে বসে পড়েন সেই যুবতী। তখন তাঁর গলায় ছুরি চালায় যুবক।
ওই যুবতীর নাম কৃতী কুমারী। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বাড়ি বিহারে। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অভিষেকের বান্ধবী ছিলেন বছর বাইশের ওই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতে হস্টেলে এসেই যুবতীকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে খুন করে পালায় অভিষেক। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন যুবতী। তিনি সেখানেই মারা যান। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, অভিষেক নামের ওই যুবক প্রথমে হস্টেলে ঢোকে। করিডর দিয়ে এগিয়ে সে যায় কৃতী নামের ওই যুবতীর দরজার কাছে। তাঁর দরজা খটখট করে। তখন সেই যুবতী দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। তখনই সেই যুবক টানতে টানতে যুবতীকে বাইরে আনেন।
ততক্ষণে যুবতী বুঝে যান, তাঁকে অভিষেক আক্রমণ করবে। সেটা বুঝেই যুবতী বাধা দিতে শুরু করেন। তবে শক্তিতে তিনি পারেননি। কৃতীকে প্রথমে সেউই যুবক টানা হ্যাঁচড়া শুরু করেন। তারপর তাঁর শরীরের একাধিক জায়গাতে ছুরি দিয়ে আঘাত হানতে থাকে।
প্রাথমিক তদন্তের পরই পুলিশ বুঝতে পারে, পরিচিত কারও হাতেই খুন হয়েছেন কৃতী। হস্টেলের নিরাপত্তা যে আঁটোসাঁটো ছিল না সেই তথ্য প্রমাণও হাতে আসে পুলিশের। যুবতীর খুন কাণ্ডে তদন্তকারীরা হস্টেল মালিককে দায়ি করে। তারপর খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ।