ভারয়ীদের জন্য গর্ব করার বিষয়। দেশের ৮টি সমুদ্র সৈকত পেল ব্লু ফ্ল্যাগ ট্যাগ। যার মধ্যে রয়েছে বাঙালির অতি চেনা পুরীর গোল্ডেন বিচও।
পরিবেশবিদরা বলছেন , আগামীদিনে এই ইকো ট্যাগ এই সৈকতগুলির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। পাশাপাশি দেশের বিচ নির্ভর পর্যটনে আরও গতির সঞ্চার করবে। ভারতের মোট আটটি সমুদ্র সৈকত এই আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি পেল।
ওড়িশার পুরী ছাড়াও ভারতের অন্যান্য যে সমুদ্র সৈকত এই ব্লু ফ্ল্যাগ ট্যাগে সম্মানিত হয়েছে, সেই সৈকতগুলি হল- শিবরাজপুর (গুজরাত), ঘোঘলা (দিউ), কাসারকোড (কর্ণাটক), পদুবিদ্রি (কর্ণাটক), কপ্পাদ(কেরল), রশিকোণ্ডা (অন্ধ্রপ্রদেশ), সোনার (ওড়িশা) এবং রাধানগর (আন্দামান)।
ব্লু ফ্ল্যাগ ট্যাগ হল একটি আন্তর্জাতিক শংসাপত্র। এই শংসাপত্র দেওয়া হয়, ডেনমার্কের ফাউন্ডেশন ফর এনভায়রনমেন্ট এডুকেশানের তরফ থেকে। এই সংস্থার মোট ৩৩ টি শর্ত থাকে। কোনও বিচে যদি এই ৩৩ টি শর্তই যথাযথভাবে পূরণ করা হয়, তবেই এই শংসাপত্র অর্জন করা যায়। ওড়িশায় দিগবেনীতে মে ফেয়ার হোটেল থেকে ৮৭০ মিটার এলাকা জুড়ে, ওয়ার্ল্ডব্যাঙ্কের সহায়তায় এই গোল্ডেন বিচ গড়ে তোলা হয়েছিল।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ট্যুইটারে জানিয়েওছেন, পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে পালন করে, বিশ্বমানের সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুরীর এই সৈকত তৈরি করা হয়েছে।
পুরীর এই সি-বিচ তৈরি করতে পরিবেশ দফতর ও রাজ্য বনদফতরের খরচ হয় প্রায় ৭.৮৮ কোটি টাকা। শর্ত অনুসারে বিচে রয়েছে সোলার লাইটিং সিস্টেম, বসার জায়গা, জগিং এরিয়া, সেফ সুইমিং জোন, ওয়চ টাওয়ার, শাওয়ার রুম এবং যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা।