এমনিতেই প্রবল শীতে কাঁপছে উত্তর ভারতের একাংশ। আগামী কয়েকদিনে সেখানকার পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হতে পারে।
ইতিমধ্যে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের নানা জায়গা শৈত্যপ্রবাহের কবলে। তাপমাত্রা নেমেছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা নীচে।
একই সঙ্গে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে। এছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে।
বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডিগড়ের কোনও কোনও জায়গায়। ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা থাকতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লিতে।
ইতিমধ্যে প্রবল ঠান্ডার কবলে ভূস্বর্গ। লেকগুলিও জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাল লেক। এছাড়াও জল সরবরাহ ব্যবস্থাতেও প্রবাভ পড়েছে এই ঠান্ডায়।
আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, উত্তর রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায়।
তার জেরে আমজনতাকে মদ্যপান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল মৌসম ভবন। একইসঙ্গে বাড়ির বাইরে বর্ষশেষের পার্টিও এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রা বাড়লেও, যেই তা চলে যাবে, তারপরেই শৈত্যপ্রবাহ কিংবা অতি শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। সেই অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও ৩০ ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।