হাথরসে সৎসঙ্গে 'দুর্ঘটনা'-য় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে শিশু-মহিলাও। গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। হাথরসে যেন মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন এতজন?
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হাথরসে ভোলে বাবা নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ ছিল। সেখানেই পদপিষ্ট হন এতজন মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঠে একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল।
সৎসঙ্গ শেষ হলে গুরুজির গাড়ি চলে যায়। ভক্তরা গুরুজিকে কাছ থেকে দেখার জন্য ও তাঁর আশীর্বাদ নিতে দৌড়ে যান। তখনই সেখানে ভিড় জমে যায়। পদপিষ্ট হন সেখানে উপস্থিত অনেকেই। তারই মধ্যে শুরু হয় ছুটোছুটি। ফলে আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী রামদাস জানান, স্ত্রীকে ওষুধ খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন আলিগড়ে। সেখান থেকে ফিরে আসেন সৎসঙ্গে যোগ দিতে। রামদাস বাইরে সেবাদারদের কাছে বসেছিলেন, তাঁর স্ত্রী সৎসঙ্গের ভিতরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
রামদাস জানান, তিনি প্যান্ডেল থেকে দূরে বসে ছিলেন। তখনই দেখতে পান একটা জায়গাতে শয়ে শয়ে মানুষ জটলা করছে। ভিড় জমে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সৎসঙ্গে ১ থেকে দেড় লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। ৫০ থেকে ৬০ বিঘার একটি মাঠ ছিল। তবে সব যেন মুহূর্তে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
তিনি পরে জানতে পারেন ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকের প্রাণও গিয়েছে।
কেউ কেউ জানান, প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলেও গরমের কারণে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন।
ফলে সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। যে গেট দিয়ে ভক্তদের বেরোনোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই গেটটি ছিল বেশ সংকীর্ণ। এমন অভিযোগও উঠছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্বজনহারানোর কান্না শোনা যায় হাসপাতাল চত্বরে।