সদ্য মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। ওই বৈঠকের পর শোনা গিয়েছিল,দুই দেশ যৌথভাবে ভারতে Su-30 ফাইটার জেট তৈরি করতে চলেছেন। মহারাষ্ট্রের নাসিকে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কারখানায় Su-30 যুদ্ধবিমান তৈরি হবে।
এই যুদ্ধবিমানগুলি ভারতে তৈরি করে সারা বিশ্বে পাঠানো হবে। এর আগে নাসিকের এই কারখানায় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে। সুখোই Su-30 যুদ্ধবিমান বিশ্বের অনেক দেশ ব্যবহার করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেটের মধ্যে অন্যতম। বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমান। আকাশ থেকে মাটিতে এবং আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধ করতে সক্ষম। শত্রুর চোখকে ধুলো দিয়ে আক্রমণ শানাতে সিদ্ধহস্ত।
এই যুদ্ধবিমানে ৩০মিমি গ্রিজেভ-শিপুনভ অটোক্যানন লাগানো হয়েছে। যা এক মিনিটে ১৫০ রাউন্ড ফায়ার করে। অর্থাৎ শত্রুর বিমান, ড্রোন বা হেলিকপ্টার কোনওভাবেই বাঁচতে পারবে না। এতে ১২ হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। ৪ ধরনের রকেট রাখা যায়। চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০ ধরনের বোমা রাখতে পারে এই যুদ্ধবিমান।
Su-30-এর হার্ডপয়েন্টে গুলি চালানোর সুবিধা রয়েছে। মোট ৮১৩০ কেজি ওজনের অস্ত্র বহনে সক্ষম। ব্রহ্মোস মিসাইলও এতে রাখা যাবে। এর সাহায্যে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বাজারও বাড়তে পারে।
এটিই একমাত্র ফাইটার জেট যা বিভিন্ন দেশ নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বানাতে পারে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী অদলবদল করা যায় যুদ্ধবিমানে। HAL ভারতে Su-30MKI তৈরি করে। ১৯৯৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে লাইসেন্স পেয়েছিল HAL।
MKI-এর অর্থ Modernised Commercial Indian। সুখোইয়ের দৈর্ঘ্য ৭২ ফুট। উইংসস্প্যান ৪৮.৩ ফুট। উচ্চতা ২০.১০ ফুট। এর ওজন ১৮,৪০০ কেজি।