প্রবল বর্ষণের কারণে ধস নেমেছিল উত্তর সিকিমে। যার জেরে বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। মঙ্গলবার ১২২৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় লাচুং এবং সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। মাঙ্গানের এডিএম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মোট ১২২৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই মংগনে পৌঁছেছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হলে কপ্টারে করে উদ্ধারকাজ করা হবে। বাগডোগরাতে ৬টি এমআই কপ্টার রাখা হয়েছে।
লাচুং এবং মংগনের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামে। যার জেরে গত ৫ দিন ধরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েন প্রায় ২ হাজার পর্যটক।
সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাংলা এবং বিশেষ করে তিস্তা নদীতে। বৃষ্টিতে লাচুংয়ের একটি বাড়ি ভেসে গেছে। ভেসে গেছে লাচুং সড়ক। তিস্তায় মিলিত সিংতাম, রংফো (সিকিম) নদী বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, যে কারণে আতঙ্কে বাসিন্দারা। গত বছর তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছিল বেশ কিছু এলাকা। চলতি বর্ষার মরশুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে, তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। মালদা, দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
এবার দক্ষিণবঙ্গে অনেকটা দেরিতে ঢুকছে বর্ষা। মঙ্গলবার হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে বর্ষার প্রবেশ ঘটতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোনও কোনও জেলায় হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি।