বাবা ও প্রেমিকের যৌন লালসা, নাবালিকার সঙ্গে পরে ঘটল ভয়ানক কাণ্ড

হাথরস কাণ্ড ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। তারপরেও রেশ টানা যাচ্ছে নারী নির্যাতনের ঘটনায়। এবার নিজের নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবাকে। পাশাপাশি গ্রেফতারও হয়েছে ওই নাবালিকার প্রেমিকও। 

নাবালিকার উপর ভয়ানক অত্যাচার

মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা ওই নাবালিকার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে কয়েকদিন আগে ভ্রুণ উদ্ধার হয়। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। তখন ওই নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে সব উগড়ে দেয় সে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই নাবালিকার বাবা ও প্রেমিককে।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকার এক ২১ বছর বয়সী যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি নাবালিকার পরিবার। কিন্তু তারপরেও সম্পর্ক চালিয়ে সে। সম্পর্কের মাঝে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার যৌন নিগ্রহ করে তার প্রেমিক। শুধু এখানেই থামেনি। বাড়িতে লাগাতার নিজের বাবার কাছেও যৌন নির্যাতনের শিকার হত সে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ৫১ বছর বয়সী তার বাবা নিজের মেয়ের উপরেই যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসে। বারবার যৌন নির্যাতনের ফলে গর্ভবতী হয়ে যায় ওই কিশোরী। 

পুলিশের কড়া ব্যবস্থা, ধৃত অভিযুক্তরা

ওই নাবালিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকার বাবা ও প্রেমিককে।  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের জন্য দুই অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

অন্যদিকে, নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছে এরাজ্যের বারাসতও। গৃহশিক্ষক ও তার এক বন্ধুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হত বলে অভিযোগ। নির্যাতনের সময়ে গোটা ঘটনার ভিডিও করে রাখত অভিযুক্তরা। পরে তা দিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন এলাকাবাসীরা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় অভিযুক্তের বাড়িতে। পরে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত পলাতক।