অষ্টাদশ লোকসভার স্পিকার পদপ্রার্থী নিয়ে এবার বিজেপি বিরোধী জট 'ইন্ডিয়া'র অন্দরে জট তৈরি হল। স্পিকার পদে বিরোধীদের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কে সুরেশকে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের দাবি, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই স্পিকার পদপ্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এটা 'কংগ্রেসের একতরফা সিদ্ধান্ত' বলে মঙ্গলবার সংসদে ঢোকার সময় মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার লোকসভায় স্পিকার পদে নির্বাচন হতে চলেছে। এনডিএ জোটের প্রার্থী করা হয়েছে পূর্বতন স্পিকার ওম বিড়লাকে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী কে সুরেশ।
স্পিকার পদে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কংগ্রেস 'একতরফা সিদ্ধান্ত' নিয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, 'আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক। এটা কংগ্রেসের একতরফা সিদ্ধান্ত।' লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদের সংখ্যা ৯৯। তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২৯ সাংসদ।
ইন্ডিয়া জোট তৈরির পর পর কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে একাধিক মতানৈক্যের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে টানাপড়েন চলেছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেনি জোড়াফুল শিবির। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের মতবিরোধ কাটাতে সম্প্রতি রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন পি চিদাম্বরম। এই আবহে এবার স্পিকার পদে প্রার্থী করা নিয়ে দুই দলের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এল।
এদিন সংসদে ঢোকার সময় তৃণমূলের সাংসদদের মুখোমুখি হন রাহুল। সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
সুরেশের মনোনয়নে ডিএমকে, শিবসেনা, এনসিপি (শারদ পাওয়ার) এবং ইন্ডিয়া জোটের একাধিক দল স্বাক্ষর করেছে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস কে সুরেশকে সমর্থন করবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। টিএমসি সাংসদরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ইন্ডিয়া জোটের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শরদ পাওয়ার বলেন, 'সত্যি বলতে আমি কারও সঙ্গে আলোচনা করিনি। স্পিকার পদে ক্ষমতাসীন দলই থাকে এটাই স্বাভাবিক। ডেপুটি স্পিকারের পদ যায় প্রতিপক্ষ দলের কাছে। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে এবং মোদী সরকারের অধীনে বেশি আসন পাওয়ার পর তারা বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকার পদ দেয়নি। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আমাদের কথোপকথন হয়েছে। আমি তাদের পরামর্শ দিয়েছি।'