Madhyapradesh Urination Case: মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় আদিবাসী যুবকের উপর প্রস্রাব করেছিলেন এক বিজেপি নেতা। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ওঠে নিন্দার ঝড়। তার রেশ মিটতে না মিটতেই মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় বিতর্কের ঢেউ। এক নির্যাতিত ব্যক্তির অভিযোগ, স্থানীয় ডাল মিলের মালিক তাঁকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছিলেন।
নির্যাতিত রঞ্জিত লোধি জানান, মহেশ সাহু নামে এক ব্যক্তি তাঁকে তিন দিন ধরে আটক করে রেখেছিল। এরপর তাঁকে নিজের প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হয়। তিনি আরও জানান, গত ১৯ জুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি তাঁর।
নির্যাতিতের অভিযোগ, মিল মালিক মাহেশ সাহু অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের সাগরের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। আর সেই কারণেই পুলিশ তাঁর অভিযোগ উপেক্ষা করেছে।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ হয়ে রঞ্জিত লোধি ভোপালের কংগ্রেস নেতাদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে এই বিষয়ের সমাধানের জন্য একটি সাংবাদিক সম্মেলনের পরিকল্পনা করে।
তবে সাংবাদিক সম্মেলন হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, মনোজ আহিরওয়ার নামে এক যুবককে নির্মমভাবে মারধর করছে কয়েকজন ব্যক্তি। আর ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জিত লোধিও। ১৫ কেজি ডাল চুরির দাবি তুলে মনোজকে মারধর করা হচ্ছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল প্রস্রাব পান করা যুবকও।
এরপরেই কংগ্রেস রঞ্জিতকে সাহায্য না করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাংবাদিক সম্মেলনের আর আয়োজন করা হয়নি। ।
ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। FIR দায়ের করা হয়।
সোমবার, সাগর পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মনোজ আহিরওয়ার থানায় গিয়ে হামলাকারীদের সনাক্ত করেছে। তিনি পুলিশকে জানান ভিডিয়োটি ২০২২ সালের। তবে সম্প্রতি তা ভাইরাল হয়েছে।
গত সপ্তাহে, একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দশমেশ রাওয়াতের উপর বিজেপি নেতা প্রবেশ শুক্লাকে প্রস্রাব করতে দেখা যায়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সরকারি বাসভবনে ডেকে পাঠানো হয় দশমেশকে। ক্ষমা চেয়ে তাঁর পা ধুয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
৫ জুলাই অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লাকে গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধি(IPC) এবং এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
দশমেশকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে তার বাড়ি নির্মাণের জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।