ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন সমাজকর্মী আন্না হাজারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই বক্তব্য সামনে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, আন্না দাবি করেছেন, তিনি হতাশ হয়েছেন। কারণ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর কথা শোনেননি। এই গ্রেফতারির কারণে তিনি অবাক নন। বরং অরবিন্দ কর্মফল ভোগ করছেন।
আন্না হাজারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন আফগারি নীতি নিয়ে কেজরিওয়ালকে দুবার চিঠি লিখেছিলেন। তবে কেজরিওয়াল তাঁর কথা শোনেননি। সেজন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজারের দাবি, তাঁর আন্দোলনে কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়া যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় কেজরিওয়ালরা আন্নার কথা মেনে চলতেন। তবে ক্ষমতা দখলের পর বা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কেজরিওয়ালরা আর তাঁর কথা শুনতেন না।
আন্না হাজারে আরও জানান, তিনি এখন কোনও উপদেশ দেবেন না। কেজরিওয়াল এখন গ্রেফতার হয়েছেন, তাই আইন অনুযায়ী যা করণীয় তাই হবে। আন্না হাজারে বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি এক সময় আমার সঙ্গে আন্দোলন করেছিলেন। মদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। সেই অরবিন্দ এখন নতুন আবগারি নীতি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে আমি মর্মাহত। অরবিন্দ কর্মফল ভোগ করছেন। কিন্তু কেজরিওয়ালেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ক্ষমতার কাছে মাথা নত হয়ে গিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, দিল্লির নতুন আবগারি নীতি ২০২১ সালের নভেম্বরে কার্যকর হয়েছিল। নয়া নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে, দিল্লির তৎকালীন মুখ্যসচিব এলজি ভি কে সাক্সেনার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা পড়ে। যেখানে মদের নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় সিবিআই মামলা দায়ের করে। তদন্তে নামে ইডিও।
এই আবগারি কেলেঙ্কারিতে কেজরিওয়াল চতুর্থ বড় নেতা যিনি গ্রেফতার হলেন। এর আগে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন মণীশ সিসোদিয়া। আবার ৪ অক্টোবর আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর এই মাসের ১৫ মার্চ ED তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়েকে গ্রেফতার হয়। কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।