রাষ্ট্রবিরোধী ন্যারেটিভ করোনা ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক। এমনই বক্তব্য ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়ের। তাঁর বক্তব্য, আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ রাষ্ট্রবিরোধী ন্যারেটিভ বাড়লে আনন্দ পায়। এটি COVID ভাইরাসের মতোই, যাকে দমন করতে হবে।
রাষ্ট্রবিরোধিতা কোভিড ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক
রবিবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে আন্তঃরাষ্ট্রীয় গীতা মহোত্সবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধনখড় রাষ্ট্রবিরোধিতা ইস্যুতে সরব হন। তাঁর কথায়, 'কিছু মানুষ দেশ বিরোধিতা ছড়াতে ব্যস্ত। মানুষের উচিত এই কার্যকলাপের বিরোধিতা করা। কারণ, রাষ্ট্রবিরোধিতা কোভিড ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক।'
ধনখড়ের বক্তব্য, গীতার দর্শন ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতির আধারের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের নিরপেক্ষতা, পারদর্শিতা ও সার্বভৌমত্ব ভাতৃপ্রীতি ও ভারত শাসনের আত্মা। আজ ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমরা এখন বিশ্বশক্তি। বিশ্বে শান্তির জন্য লড়ছি। ২০৪৭ সালে আমরা ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে চাই। ওই বছর আমরা স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি করব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব এত যন্ত্রণা দেখেনি
এই অনুষ্ঠানে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন ধনখড়। বলেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব এত যন্ত্রণা দেখেনি, যতটা আজ দেখছে। আমরা ভার্চুয়ালি একটি আগ্নেয়গিরির উপরে বসে আছি। গীতার দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক, যা প্রাচীনকালে ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি ঐতিহাসিক বক্তব্য পেশ করেছিলেন বছর দেড়েক আগে। বলেছিলেন, এই দেশ কখনও নিজেদের বিস্তারের বিষয়ে ভাবেনি। আমরা সব রকম আক্রমণ সহ্য করেছি। কিন্তু আগ্রাসনে কখনও বিশ্বাস করিনি।'
শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধ চাননি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে ধনখড় বলেন, 'যখন বিশ্বের সামনে দুটি বড় ইস্যু ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী গীতার দর্শন অনুসরণ করেই যুদ্ধ থেকে বাঁচার সব রকম চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধ যাতে না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে সব রকমের চেষ্টা করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কিন্তু একবার যখন যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে গেল, তখন অর্জুনকে জ্ঞান দান করলেন। সেই জ্ঞানের উপরে আমাদের আজ চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।'