অনুমতি মিলেছিল আগেই, এবার সেই মতো মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, বহুদিন পর সাক্ষাৎ হওয়ায় আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে দুজনেই। মিনিট পনের কথা হয় তাঁদের মধ্যে। অনুব্রত বারবার সুকন্যাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন?
এর আগে বৃহস্পতিবার যখন কেষ্ট মণ্ডলকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই সময়েই জানা গিয়েছিল শনিবার মেয়ের সঙ্গে কথা হবে তাঁর। সেই মতো নিয়ম মেনে এদিন তিহাড়েই বাবা-মেয়ের কথা হল। ওই দিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করার সময় সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'শনিবার দেখা করব। ও তো আমার মেয়ে। একশোবার দেখা করব'। মেয়ের কথা বলার সময়ও আবেগঘন দেখায় তাঁকে।
সেদিন আদালত কক্ষেও মেয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন কেষ্ট। ইডির অফিসারদের কেষ্ট প্রশ্ন করেন, 'মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি'? শুধু বৃহস্পতিবারই নয়, মেয়ের গ্রেফতারির পর থেকেই বেজায় চটে রয়েছেন তিনি। সুকন্যাকে ইডি গ্রেফতার করার পর কেষ্টর প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, মেয়ের গ্রেফতারি 'অন্যায়'। মেয়েকে গ্রেফতার করে কোনও 'বাহাদুরি'র কাজ করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তারপর অবশেষে মেয়ের সঙ্গে দেখা হল অনুব্রতর।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অুব্রত মণ্ডল। এরপর ২৬ এপ্রিল দিল্লির টানা জেরার পর সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচারকাণ্ডে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে। অভিযোগ, সেই টাকার একটি বড় অংশ দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর সহযোগী, নিরাপত্তাকর্মী ও মেয়ের নামে সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে সুকন্যা মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির তালিকা। তারপরেই ইডির আতশকাঁচের তলায় আসেন সুকন্যা মণ্ডল।