অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা এই বছরের অন্যতম বড় ঘটনা। ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অপেক্ষা অবসান ঘটেছিল। গোটা দেশ যে বিগ্রহের উপাসনা করবে সেই মূর্তি তৈরি করে নদরে এসেছিলেন শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ইন্ডিয়াটুডে কনক্লেভের মঞ্চে এসে নিজের সেই অনুভূতি শেয়ার করে নিলেন অরুণ যোগীরাজ।
ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য রাম লালার ঐশ্বরিক মূর্তিকে কীভাবে জীবন্ত করলেন সেই কথাই জানালেন। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে, মাইসুরু-ভিত্তিক শিল্পী প্রকাশ করেন যে শিশু ভগবান রামের চোখ খোদাই করার জন্য তার কাছে ২০ মিনিটের সময় ছিল, যা মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্টার পরে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। শিল্পী বলেন, "তারা আমাকে চোখের ভাস্কর্য করার জন্য ২০ মিনিট সময় দিয়েছিল। আমি মহুরতের আগে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম , যেমন সরযুততে স্নান করা।" যোগীরাজ বলেন যে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে পারবেন, তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি তীব্র চাপ অনুভব করেছিলেন কারণ চোখগুলি রাম লালার মূর্তির একটি অপরিহার্য দিক ছিল।
অধোয্য়ায় রাম মন্দির কীভাবে তৈরি করা হল? কীভাবে রাম বিগ্রহের চক্ষুদান করা হয়েছিল। ইন্ডিয়াটুডে কনক্লেভে জানালেন শিল্পী। বললেন, আমার খুব টেনশন ছিল। ১০ রকমের চোখ তৈরি করা যেতে পারে। ২০ মিনিট মাত্র আমার কাছে সময় ছিল। কূলদেবতার পুজো সেরে মাত্র ২০ মিনিটে আমি ওই চোখ তৈরি করতে পারলাম। আমরা আসলে যা চাই, সেটাই তৈরি করতে পারি। আমার মাথায় ছিল, যাতে রামলালার দর্শনে গোটা দেশ অনুভব করতে পারে, রামলালার দিব্যমূর্তি দর্শন করছে। আমি রামলালাকে বলতাম মনে মনে, যা আপনি চান, সেভাবেই আমাকে দিয়ে নিজেকে গড়ে নিন। আমি জুন মাসে শুরু করেছিলাম মূর্তি গড়ার কাজ। অগাস্টের মধ্যে প্রায় পুরোটাই শেষ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তারপর বলা হল, নতুন করে গড়তে হবে। তারপর সেপ্টেম্বরে ফের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করলাম। আমি তো এক মিনিটেই হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম।
শিল্পী অরুণ যোগীরাজের কথায়, আমি আমার ছোট্ট মেয়েকে দেখিয়ে জিগ্গেস করেছিলাম, দেখো তো..এই চোখটি বড়দের মতো লাগছে নাকি বাচ্চাদের মতো। আমার মেয়ে বলল, চোখটি শিশুর মতো লাগছে। আত্মবিশ্বাস পেলাম। আমি শুধুমাত্র শিশুর চোখ চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, রামকে। রামলালার চোখ চেয়েছিলাম। আমি ৫ বছরের বাচ্চাদের আসতে বলতাম। ওদের চোখ দেখতাম। হাত, পা ছুঁয়ে দেখতাম।
অরুণ যোগীরাজ বলেন মথুয়া কৃষ্ণের মূর্তি বানাতে পারলে তিনি খুশি হবেন। অরুণ যোগীরাজের কথায়, আসলে আমরা মানুষ ভগবানকে তৈরি করতে পারি না। ভগবান আমাদের দিয়ে সৃষ্টি করান। রাম আমাকে বেছেছিলেন, তাঁর বিগ্রহ তৈরির জন্য। কৃষ্ণ জন্মভূমিতে কৃষ্ণের মূর্তি গড়ার সুযোগ পেলেও খুব আনন্দিত হবো।