দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সমাবেশের ঘোষণা I.N.D.I.A জোটের। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস পার্টির নেতারা সাংবিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন। তাঁদের ঘোষণা,৩১ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দানে এই সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের নেতারা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশের অভ্যন্তরে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছেন এবং দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, সেটা মানুষ দেখেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে জনগণ ক্ষুব্ধ। এর উত্তর জনতা দেবে। দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিপন্নতা নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ আছে। তার বহি:প্রকাশ হবে।'
বিরোধী দলের নেতারা বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী এজেন্সিকে ব্যবহার করে সারা দেশে একের পর এক বিরোধী দলকে ধ্বংস করছেন, বিধায়কদের কেনাবেচা করছেন। বিরোধীদেরকে ভুয়ো মামলাতে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহার পর্যন্ত I.N.D.I.A জোটের নেতাদের ভুয়ো মামলা দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা চলছে। দিল্লিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।'
বিরোধী নেতাদের আরও অভিযোগ, দিল্লিকে সেনানিবাসে পরিণত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও আম আদমি পার্টির জাতীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বলছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিরোধী নেতারা দুর্নীতি করেছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে ৬০ কোটি টাকার মানি ট্রেল প্রকাশ্যে এসেছে। শরৎ রেড্ডির কোম্পানি থেকে ৬০ কোটি টাকার বন্ড নিয়েছেন।
তা নিয়ে আপের নেতার প্রশ্ন বিজেপির লোকেরা চুপ কেন? দেশ আজ নিরব থাকলে আওয়াজ তুলবে কে?এরপরই কংগ্রেস ও আপের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানানো হয়, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৩১শে মার্চ সকাল ১০টায় গোটা দিল্লি রামলীলা ময়দানে সমাবেশ হবে।
আপ নেতা গোপাল রাইয়ের অভিযোগ, ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের সাথে যুক্ত দলগুলির সমস্ত বড় নেতারা ৩১ মার্চ রামলীলা ময়দানে মহার্যালিতে অংশ নেবেন। এদিকে কংগ্রেস নেতা অরবিন্দর সিং লাভলি বলেছেন, রাহুল গান্ধী যদি সারা দেশে গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন, তাহলে কংগ্রেস দল কীভাবে পিছিয়ে থাকবে। এই লড়াইয়ে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছেন। এটা ভারতীয়দের জন্য ঝামেলার বিষয়। দেশের যুবসমাজকে এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের আগে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে কারাবন্দি করা হচ্ছে?