আফগারি কেলেঙ্কারি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিনের নির্দেশ স্থগিত করল হাইকোর্ট। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে। এই নির্দেশ দেন বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ।
শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার সময় বিচক্ষণতা ব্যবহার করেনি। বিচারপতিরা বলেন, 'আমরা উভয় পক্ষের কথা শুনেছি। কিন্তু নিম্ন আদালত ইডির নথি বিবেচনা করেনি। নিম্ন আদালত PMLA এর ধারা ৪৫-এর দ্বৈত প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করেনি।'
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানান, ইডি-র পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তাঁদের জানিয়েছেন, নিম্ন আদালত আদেশে বলেছিল, এতগুলি নথি পড়া সম্ভব নয়। এইরকম মন্তব্য অনভিপ্রেত। এর থেকে পরিষ্কার যে নিম্ন আদালত মামলার প্রতি মনোযোগ দেয়নি। হাইকোর্টের এটাও পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট তার গ্রেফতারের আবেদন খারিজ করার পর তার স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে, তা বলা যাবে না।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করে। ইডি কেজরির জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল সেদিন। তবে তা গ্রাহ্য হয়নি। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি।
হাইকোর্টে ইডি জানায়, নিম্ন আদালত একতরফাভাবে কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু, ইডি-র পক্ষে উপস্থিত হয়ে হাইকোর্টের সামনে যুক্তি দেন, নিম্ন আদালতের আদেশ একতরফা। অপ্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করা হয় কেজরিওয়ালের।
ইডি এসএলপি-তে দাবি করে,আবগারি দুর্নীতির এখন তদন্ত চলছে। এই সময় কেজরিওয়ালকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। কারণ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। নির্বাচনের প্রচারের জন্য ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২ জুন আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর গ্রেফতারির চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ করেছিল। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল।