প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্য়ায়। প্রণব মুখোপাধ্যাকে নিয়ে ‘প্রণব মাই ফাদার: আ ডটার রিমেম্বার্স’ বই লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। সেই বই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শর্মিষ্ঠা। এরপর শর্মিষ্ঠা বলেন, 'বাবার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা কমেনি। তিনি আমার প্রতিও বরাবর সদয়।'
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে ছবি পোস্ট করেন শর্মিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকেছিলেন বইয়ের কপি উপহার দেওয়ার জন্য। তিনি আমার প্রতি বরাবরের মতোই এখনও সদয়। আমার বাবার প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা কমেনি।' শর্মিষ্ঠার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর হাতে বই তুলে দিচ্ছেন।
কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা তাঁর বইয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়ের অবতারণা করেছেন। বইয়ে তিনি দাবি করেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ছিল। রাহুল একজন পরিপক্ক রাজনীতিবিদ বলেও তিনি মনে করতেন না।
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে শর্মিষ্ঠা রাহুল গান্ধীকে খুব নম্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। সঙ্গে এও বলেছিলেন, রাহুল এখনও একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিণত হননি। শোনা যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় যে ডায়েরি লিখেছিলেন, সেখানে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংকে পরোক্ষে দায়ী করেছিলেন।
শর্মিষ্ঠার মতে, একদিন নাকি প্রণব মুখোপাধ্যায় মুঘল গার্ডেনে (বর্তমানে অমৃত গার্ডেন) সকালে হাঁটতে গিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। প্রণব তাঁর মর্নিং ওয়াক এবং পুজোর সময় কোনও কাজ রাখা পছন্দ করতেন না। তারপরও রাহুল দেখা করতে আসেন। আসলে, সন্ধ্যায় প্রণবের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে, তাঁর কার্যালয় থেকে প্রণবকে সকালে বৈঠকের কথা জানানো হয়। আমি (শর্মিষ্ঠা) একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে বাবাকে জিজ্ঞেস করি। তখন নাকি প্রণব ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেছিলেন, রাহুলের অফিস যদি 'এএম' এবং 'PM'-এর মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে, তাহলে কীভাবে একদিন PMO চালাবেন?