অযোধ্যায় ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে অভিষেক হবে রামের বিগ্রহের। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়েছে। এখন সারা দেশের রাম ভক্তরা সেই মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাম মন্দিরে রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গর্ভগৃহে মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানো রামের প্রথম ছবি সামনে এসেছে।
গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে আসা রামলালার ছবিতে রাম মন্দির নির্মাণে নিয়োজিত শ্রমিকদেরও হাতজোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। কর্ণাটকের বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন। মহীশূরের বিখ্যাত ভাস্করদের পাঁচ প্রজন্মের পারিবারিক পটভূমিতে থাকা অরুণ যোগীরাজ বর্তমানে দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান ভাস্কর বলে জানা গেছে। অরুণ একজন ভাস্কর যার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। অরুণের বাবা যোগীরাজও একজন দক্ষ ভাস্কর। তাঁর পিতামহ বাসভন্ন শিল্পী মহীশূরের রাজার শিল্পী ছিলেন।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর দেখা যাবে রামলালার পবিত্র মূর্তি। রামলালার মূর্তি স্থাপন করতে মোট চার ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। রামের এই মূর্তিটি মন্ত্র উচ্চারণ এবং পুজোর আচারের সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছিল। এসময় ভাস্কর যোগীরাজসহ অনেক সাধুও উপস্থিত ছিলেন। এখন ২২ শে জানুয়ারী পুজো হবে। রামলালের আসনটি ৩.৪ ফুট উঁচু। বুধবার রাতে ক্রেনের সাহায্যে রাম মন্দির চত্বরের ভিতরে রামলালের মূর্তি আনা হয়েছিল। এর কিছু ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। আসনটি ৩.৪ ফুট উঁচু, যা মাকরানা পাথর দিয়ে তৈরি।
তিনজন ভাস্কর বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করছিলেন। উল্লেখ্য যে ১৯৪৯ সাল থেকে ভক্তরা রামলালার মূর্তি সম্বলিত অস্থায়ী মন্দিরে প্রার্থনা করছেন। নতুন মন্দিরে মূর্তি স্থাপনের কাজ করছিলেন তিন ভাস্কর। বিভিন্ন পাথরে বিভিন্ন কাজ করে তিনি ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। তাদের দুজনের জন্য পাথর এসেছে কর্ণাটক থেকে। তৃতীয় মূর্তিটি তৈরি হচ্ছিল রাজস্থান থেকে আনা পাথর দিয়ে। ভাস্কর্যগুলি জয়পুরের ভাস্কর সত্যনারায়ণ পান্ডে এবং কর্ণাটকের গণেশ ভাট এবং অরুণ যোগীরাজ দ্বারা খোদাই করা হয়েছিল। এই তিনটি মূর্তির মধ্যে অরুণ যোগীরাজের তৈরি রাম মন্দিরের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।