যোগগুরু স্বামী রামদেব দেশের তরুণদের সন্ন্যাসী হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তথ্য শেয়ার করার পাশাপাশি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। বাবা রামদেব এতে জানিয়েছেন, যে সব যুবক-যুবতীরা সন্ন্যাসী হতে চান তাদের কী শর্ত পূরণ করতে হবে। এর জন্য সন্ন্যাস মহোৎসবের আয়োজন করা হবে, যা ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে রামনবমী অর্থাৎ ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলবে। দ্বাদশ পাস, স্নাতক, স্নাতকোত্তর তরুণরা করতে পারবে।
প্রকাশ করা পোস্টারে বাবা রামদেব বলেছেন, 'যে কোনও জাতি ও সম্প্রদায়ে জন্ম নেওয়া একজন সাধারণ মানুষ বড় বিপ্লব ঘটাতে পারে। শুধুমাত্র তাকেই পরাক্রমশালী এবং প্রচণ্ড প্রচেষ্টাকারী হতে হবে। যাতে মহান ঋষিদের মতো ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়। বাবা রামদেব যুবকদের রামনবমীতে পতঞ্জলিতে আসার এবং তাঁর কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়ার এবং তপস্বী জীবনযাপন করার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, তরুণদের পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষাগ্রহণ করে নিজেদের মধ্যে মহান ঋষিদের মতো ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন- 'সেম সেক্স' বিয়ে বৈধ থাকবে? সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি
পোস্টারে আরও বলা হয়েছে যে কোনও জাতি ও প্রদেশের পিতামাতারা তাদের মেধাবী সন্তানদের স্বামী রামদেবের কাছে শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে অবসর গ্রহণের জন্য পাঠাতে পারেন বংশের নাম গৌরব আনতে। এই শিশুরা সনাতন ধর্মে নিবেদিত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, কোনো যুবক যদি নিজ ইচ্ছায় সন্ন্যাস নিতে আসতে চায় এবং তার পিতা-মাতা অজ্ঞতা বা আসক্তির কারণে তাকে বুঝতে সক্ষম হয় না। তাই বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়াও তিনি পতঞ্জলি যোগপীঠে আসতে পারেন। স্বামী রামদেব এবং মহর্ষি দয়ানন্দের মতো বেশিরভাগ সন্ন্যাসী এখান থেকেই তৈরি হয়েছেন।
বাবা রামদেব দাবি করেছেন যে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় যোগে বিএ, এমএ, বিএএমএস এবং বিওয়াইএনএসের পাশাপাশি দর্শন, বেদশাস্ত্র এবং ব্যাকরণ সহ সংস্কৃত ও সাহিত্যে বিএ এবং এমএ করার সুযোগ রয়েছে।