বেঙ্গালুরুতে যুবতী খুনের ঘটনায় উঠে এল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব। মৃতার স্বামী হেমন্ত দাসের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মহালক্ষ্মীর এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই যুবকই তাঁকে খুন করে থাকতে পারে।
হেমন্ত দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহালক্ষ্মীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আশরাফ নামে এক যুবকের সঙ্গে। আশরাফের বাড়ি উত্তরাখণ্ড। সেই এই খুনের পিছনে থাকতে পারে। আশরাফ নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন হেমন্ত।
হেমন্তর কথায়, 'আমার স্ত্রী-কে খুন করে থাকতে পারে আশরাফ। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তারপর ঠিক হয় আশরাফ আর বেঙ্গালুরুতে ঢুকতে পারবে না। তবে সেটা বাস্তবে হয়নি। ওরা কোথায় যেত, কোথায় থাকত, এসব তথ্য আমার কাছে নেই।'
প্রসঙ্গত, ছয় বছর আগে হেমন্ত দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মহালক্ষ্মীর। দুজনের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে ৯ মাস ধরে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন।
হেমন্ত দাসের কথায়, 'আশরাফের বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। তাঁর সঙ্গে মহালক্ষ্মীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে এটা জানার পরই থানায় অভিযোগ করি। সন্দেশের কোনও অবকাশ ছিল না। দুজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আশরাফ একটা সেলুনে কাজ করে। ২০২৩ সালে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের কথা জানতে পারি। আমার স্ত্রী আমাকে এই ব্যাপারে কিছু বলেনি। তবে আমি ওঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম।'
হেমন্ত একজন মোবাইলের দোকানের কর্মী। মাস খানেক আগে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহালক্ষ্মী।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর একটি ওয়ান বেডরুম ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার হয় মহালক্ষ্মীর। দেহটিকে ৩০ পিস করে ফ্রিজের মধ্যে রাখা ছিল। ঘটনা সামনে আসার পর বেঙ্গালুরুতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশ তা নিয়ে বিবৃতিও দেয়।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, 'ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অনেক নমুনা সংগ্রহ করেছে। তবে সেই সব প্রেসের সামনে বলা যাবে না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খুনের সঙ্গে একজন যুক্ত। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। খুনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগ থাকতে পারে।'