বেঙ্গালুরুতে যুবতী খুনে বাংলা যোগ। এই তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ এই নিয়ে এখনই বিস্তারিতভাবে কিছু না বললেও প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, আততায়ী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এই নিয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে আততায়ী বাংলার। তার এই খুনের সঙ্গে যোগ রয়েছে।
শনিবার মহালক্ষ্মী নামে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয় ফ্রিজ থেকে। সেখানে দেহের ৩০ টুকরো মেলে। পশ্চিমবঙ্গের যোগ নিয়ে সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরমেশ্বর জানান, পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। পরমেশ্বর আরও জানান, এখনও পর্যন্ত কাউকে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর একটা সিঙ্গল বেডরুম ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন মহালক্ষ্মী। স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না। তবে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী আসেন।
এই ঘটনার পর থেকে বেঙ্গালুরুতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মহিলাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না, তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন পরমেশ্বর। তিনি জানিয়েছেন, মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জন্মসূত্রে নেপালের বাসিন্দা এই তরুণী বেশ কিছুদিন ধরে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। শনিবার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ওই যুবতীর মা তাঁর বাড়িতে যান। বাড়ির দরজা না খোলায় তাঁকে ফোন করা হয়। তবে ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন পরিবারের সদস্যরা। আরও পরে বাড়ির ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া টুকরো করা মৃতদেহ।
প্রাথমিকভাবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে খুন করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছে। পচা গন্ধ যাতে কোনওভাবে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য রসায়নিকও ব্যবহার করা হয়েছিল।