scorecardresearch
 

অবশেষে সুখবর! জুনের মধ্যেই আসছে 'কোভ্যাক্সিন', জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক

করোনার প্রতিষেধক হিসাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল ইতিমধ্যে সফল হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে। এর মধ্যেই আরও একটি খবর সামনে এল। ২০২১ সালের জুনেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে করোনা প্রতিরোধে দেশীয় এই ভ্যাকসিন।

Advertisement
কোভ্যাক্সিন কোভ্যাক্সিন
হাইলাইটস
  • জুনের আগেই চলে আসবে কোভ্যাক্সিন
  • আশার খবর শোনাল ভারত বায়োটেক
  • আগামী মাসেই এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল শুরু

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। করোনার প্রতিষেধক হিসাবেল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল ইতিমধ্যে সফল হয়েছে। হায়দরাবাদের এই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা এবার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরির তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমতি পয়েছে। গত ২ অক্টোবর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। চলতি সপ্তাহেই এদেশে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় হিউম্যান ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে ভারত বায়োটেক। সেই সঙ্গে করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে এই ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে নিয়ে বিশ্বে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই আরও একটি খবর সামনে এল। ২০২১ সালের জুনেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে করোনা প্রতিরোধে দেশীয় এই ভ্যাকসিন।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ জানিয়েছেন, আগামী বছর জুনের মধ্যে বাজারে আসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে তাঁদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন। তবে সরকার জরুরি অনুমোদন দিলে তার আগেই এসে যেতে পারে করোনা প্রতিরোধে তৈরি সম্পূর্ণ দেশীয় এই ভ্যাকসিন। সাই প্রসাদ জানিয়েছেন, “যদি আমরা সমস্ত অনুমোদন  পাই তবে ২০২১-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়কালে আমাদের  ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে।   উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আগামী এপ্রিল, মে, জুন মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনের  কার্যকারিতা বোঝা যাবে। ”

সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ আরও জানিয়েছেন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত গাইড লাইন মেনেই কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে। এটি কার্যকরী ও নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে দ্বিতীয় ট্রায়াল পর্যন্ত। তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত এই ভ্যাকসিন।  ভারতের বাজারে যখনই কোভ্যাক্সিন আসবে, তা প্রাথমিকভাবে মানব শরীরে ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে।

Advertisement

জানা যাচ্ছে তাঁদের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যারে ট্রায়ালে সংস্থা  ১৮ বছরের বেশি বয়সি সাড়ে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককের উপর পরীক্ষা চলবে। ইতিমধ্যে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিজেদের নাম এনরোলড করেছেন।  ১০টি রাজ্যের ৩০টি  শহরে  এই পরীক্ষা চালানো হবে। ওই সব জায়গার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, পটনা, লখনউয়ের মতো শহর। আগামী মাসের মাঝামাঝি এই পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে। এদেশে ভারত বায়োটেক ছাড়াও আরেক দেশী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলাও তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। জাইডাসের ভ্যাকসিনটি রয়েছে  ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে। এছাড়া অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকিসনেরও দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে এদেশে।  অ্যাস্ট্রাজেনেকার  সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রথম করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি ট্রায়ালও এদেশে শুরুর অনুমোদন দিয়েছে ডিজিসিআই। ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরিসকে এই ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
 

Advertisement